মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। ছবি: পিটিআই।
পরিযায়ী জনগোষ্ঠীর জন্য ‘রিমোট ভোটিং মেশিন’ (আরভিএম) চালু করা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে বৈদ্যুতিন ভোট যন্ত্র (ইভিএম) বাতিল করার কোনও সম্ভাবনাই নেই বলে জানিয়ে দেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। আজ তিনি বলেন, ইভিএম একশো শতাংশ নির্ভুল। জালিয়াতি করা অসম্ভব। তাই বাতিল করার প্রশ্নই নেই। তা ছাড়া, জনপ্রতিনিধি আইন ১৬-এর কারণে কমিশন ইভিএম ব্যবহারের প্রশ্নে দায়বদ্ধ। সরকারি সূত্রের খবর, চলতি বছরে জম্মু-কাশ্মীর ও নয়টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন ও আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা নতুন ইভিএম কেনার অর্থ আজ অনুমোদন করেছে। ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ও ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া-র থেকে ইভিএম কেনার প্রায় ১,৩৩৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। এই অর্থে ভিভিপ্যাট-এর মানোন্নয়নও হবে।
প্রায় দু’দশক আগে ইভিএম ব্যবহার শুরু হওয়ার পর থেকেই এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়। সম্প্রতি বিএসপি নেত্রী মায়াবতী ইভিএম-এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফের ওই বিতর্ক উস্কে দেন। আজ সাংবাদিক বৈঠকে মায়াবতীর অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে, রাজীব কুমার বলেন, বিভিন্ন সময়ে ইভিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু ইভিএম বাতিল করা বা ব্যালট পেপারে ফিরে যাওয়ার প্রশ্ন নেই। সুপ্রিম কোর্ট ও হাই কোর্টের একাধিক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে রাজীব কুমার বলেন, আদালত বলেছে, ওই মেশিনে যেমন ভাইরাস প্রবেশের সুযোগ নেই, তেমনই রিগিং করা যায় না। তিনি এ-ও জানান, ইতিমধ্যে ৩৬ হাজার পেপার ট্রেল মেশিন (ভিভিপ্যাট) সঙ্গে ইভিএম-এর ফলাফল মিলিয়ে দেখা হয়েছে এবং তাতে ১০০ শতাংশ নির্ভুল ফল পাওয়া গিয়েছে।
গত সোমবার আরভিএম নিয়ে কমিশন রাজনৈতিক দলগুলির বৈঠক ডাকলেও, কারা পরিযায়ী হিসেবে গণ্য হবেন ,তা ঠিক না হওয়ায় আরভিএম-এর কর্মপদ্ধতি দেখতে চাননি বিরোধীরা। তা সত্ত্বেও ওই বৈঠক সফল হয়েছে বলে দাবি করেছেন রাজীব কুমার। তিনি বলেন, গণতন্ত্রে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগে। কিন্তু ত্রিশ কোটি মানুষ যে লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন না সে বিষয়ে সব দল সহমত। এখন সেই পরিযায়ীদের স্থানান্তর কেবল রাজ্যের মধ্যে গণ্য করা হবে, না কি রাজ্যের বাইরে ধরা হবে, সে বিষয়গুলি নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।