সাংসদ সৌগত রায়ের লিখিত প্রশ্নের জবাবে পেট্রলিয়াম মন্ত্রক জানিয়েছে, আগামী ৭৪ দিনের তেল মজুত রয়েছে দেশে। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ
দেশে জ্বালানি তেল মজুত নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়ার মতো তথ্য দিল কেন্দ্র। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের লিখিত প্রশ্নের জবাবে পেট্রলিয়াম মন্ত্রক জানিয়েছে, আগামী ৭৪ দিনের তেল মজুত রয়েছে দেশে।
সাংসদ জানতে চেয়েছিলেন, এই মুহূর্তে দেশে মজুত তেলের পরিমাণ কত? কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে সেই পরিমাণ তেল দিয়ে কতদিন কাজ চালানো সম্ভব? উত্তরে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক জানিয়েছে, এই মুহূর্তে দেশে প্রায় ৫০.৩৩ লক্ষ মেট্রিক টন অপরিশোধিত তেল মজুত রয়েছে। যা দিয়ে দেশে ৯.৫ দিনের চাহিদা মেটানো যেতে পারে। অন্য দিকে বিভিন্ন পেট্রোলিয়াম সংস্থাগুলির কাছে যে পরিমাণ তেল মজুত আছে তা দিয়ে ৬৪.৫ দিন কাজ চলতে পারে। সব মিলিয়ে দেশে মোট ৭৪ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে।
তবে পেট্রল-ডিজেলের মজুতের পরিমাণ কমে যাওয়াকে যথেষ্ট উদ্বেগের বলছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আন্তর্জাতিক স্তরে সাধারণ ভাবে যে কোনও দেশে ৯০ দিনের তেল মজুত থাকার কথা, সে জায়গায় ১৬ দিনের মজুত কম রয়েছে। তবে কেন মজুত কমেছে তার কোনও কারণ জানানো হয়নি পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের উত্তরে। সাধারণ পরিস্থিতিতে এ দেশে ১০০ দিনের মজুত থাকে। সেই তুলনায় অনেকটাই কমেছে মজুতের পরিমাণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এর কারণ হতে পারে। তবে রাশিয়ার কাছে তেল নেওয়ার ব্যাপারে সদর্থক ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি হলে এই ঘাটতি মিটবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। কারণ তৃণমূল সাংসদ মালা রায়ের একটি প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্র জানিয়েছে, রাশিয়া থেকে যে পরিমাণ তেল আমদানি করা হয় তা মোট আমদানির ১ শতাংশের কম।
এ দিকে পাঁচ রাজ্যের ভোট শেষ হতেই প্রায় প্রতিদিন নিয়ম করে বেড়ে চলেছে পেট্রল ডিডেলের দাম। বৃহস্পতিবারও তার অন্যথা হয়নি। লিটার প্রতি ৮৩ পয়সা বেড়েছে পেট্রলের দাম, ডিজেলের দাম বেড়েছে ৮০ পয়সা।