Rahul Gandhi

রাহুলের বক্তৃতায় ‘হত্যা’ শব্দ মুছে দিলেও স্মৃতির মুখে ওই শব্দ বিবরণীতে কেন? প্রশ্ন কংগ্রেসের

স্পিকারকে চিঠি পাঠিয়ে কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটি অভিযোগ করেছে সংসদের কার্যবিবরণী থেকে রাহুলের ব্যবহার করা শব্দ মুছে দেওয়া হলেও, একই শব্দ ব্যবহার করেও পার পেয়ে গিয়েছেন স্মৃতি ইরানি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২৩ ১৫:৪৬
Share:

সংসদে রাহুলের বক্তব্যের ‘হত্যা’ শব্দ বাদ দেওয়া হলেও, রাখা হয়েছে স্মৃতির কথা। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় ‘হত্যা’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। বুধবার সংসদে তাঁর ৩৭ মিনিটের বক্তৃতায় ‘হত্যা’ শব্দটির ব্যবহার করেছিলেন ওয়েনাড়ের সাংসদ। লোকসভার কার্যবিবরণী থেকে সেই শব্দটি বাদ দিয়েছিলেন স্পিকার ওম বিড়লা। বৃহস্পতিবার স্পিকারকে একসঙ্গে তিনটি চিঠি পাঠিয়েছে কংগ্রেসের লোকসভার সংসদীয় কমিটি। সেই চিঠিতে কংগ্রেস নেতৃত্ব অভিযোগ করেছেন, রাহুলের ব্যবহার করা শব্দ মুছে দেওয়া হলেও, একই শব্দ ব্যবহার করেও পার পেয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। স্মৃতির বক্তৃতায় ‘হত্যা’ শব্দটি রেখে দেওয়া হয়েছে লোকসভার কার্যবিবরণীতে।

Advertisement

সেই তিনটি চিঠির প্রথমটিতেই রাহুলের বক্তৃতা থেকে ‘হত্যা’ শব্দটি বাদ দেওয়া নিয়ে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস সংসদীয় দল। তাদের যুক্তি, রাহুল আসলে ওই ‘শব্দ’-র ব্যবহার করে ভারতে গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন। তাঁর বক্তৃতা থেকে ওই শব্দটি মুছে দিলে বাক্যটিই নিরর্থক হয়ে যাবে বলে মনে করেছে কংগ্রেস সংসদীয় কমিটি। তাই তারা স্পিকারকে চিঠি দিয়ে ওই শব্দটি নিয়ে বিবেচনা করার অনুরোধও জানিয়েছে। সেই সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে, ১১৫ (৩) ধারায় স্পিকার কোনও সাংসদের কাছে তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাইতে পারেন। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে সেই ধারার প্রয়োগ করতে হলে স্পিকারের উচিত রাহুল ও স্মৃতি দু’জনের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া— ঘুরপথে সে কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

স্পিকারের কাছে অভিযোগ কংগ্রেসের।

এ ছাড়াও কংগ্রেস সংসদীয় কমিটি সরাসরি অভিযোগ করেছে সংসদ টিভির বিরুদ্ধে। স্পিকারের কাছে তারা অভিযোগ করেছে, লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনা সম্প্রচারের ক্ষেত্রে পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হয়েছে। তাদের নেতা রাহুল মোট ৩৭ মিনিট বক্তৃতা করেছেন। কিন্তু রাহুলের বক্তৃতা চলাকালীন মাত্র ১১ মিনিট তাঁকে দেখানো হয়েছে। অন্যান্য বিরোধী সাংসদের বক্তৃতার সময় ট্রেজারি বেঞ্চের ছবিই বেশি দেখানো হয়েছে।

Advertisement

পাশাপাশি, স্পিকার ওমকে লেখা আরও একটি চিঠিতে কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, মণিপুর নিয়ে সংসদে আলোচনার ক্ষেত্রে আদৌ সদিচ্ছা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। এ ক্ষেত্রে তারা আলোচনার ধারার উল্লেখ করে সরকারের এমন অবস্থানের জন্য দায়ী করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। সঙ্গে কংগ্রেস সংসদীয় দল জানিয়েছে, মণিপুরে শান্তি ফেরানোর জন্য তারা সেখানকার সমস্ত বাসিন্দার আবেদন জানাচ্ছে। মণিপুরে যাতে আর কোনও সন্ত্রাসমূলক ঘটনা না ঘটে, সেখানে যাতে শান্তি বহাল হয়, সেই বিষয়ে মণিপুরবাসীর সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করতে তারা প্রস্তুত বলেও স্পিকার মারফত মণিপুরবাসীকে জানাতে চেয়েছে কংগ্রেস সংসদীয় দল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement