কেরলে ফুল মালা দিয়ে পুজো করা হয় দেশের সবচেয়ে লম্বা হাতি থেচিকোট্টুকাভু রামচন্দ্রনকে। ছবি: সংগৃহীত।
দেশের সবচেয়ে লম্বা হাতি। কেরলে ফুল মালা দিয়ে পুজো করা হয় থেচিকোট্টুকাভু রামচন্দ্রনকে। ত্রিশূরের একটি মন্দিরে নিয়মিত পুজো পায় ‘গজদেবতা’।
হাতিটির বয়স ৫৮ বছর। তার উচ্চতা প্রায় ১০ ফুট। ভারতে যে সমস্ত হাতি পোষা হয়, তার মধ্যে সবচেয়ে লম্বা থেচিকোট্টুকাভু রামচন্দ্রন। গজদেবতা হিসাবে এই হাতি যেমন শ্রদ্ধার পাত্র, তেমন তাকে ভয়ও পান সকলে। কারণ, এই হাতিই অন্তত ১৫ জন মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়েছে। সেই সঙ্গে ৩টি হাতিকেও মেরেছে সে।
থেচিকোট্টুকাভু রামচন্দ্রন একটি চোখে দেখতে পায় না। বয়সের কারণে দ্বিতীয় চোখেও ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি হারাচ্ছে সে। তার হাতে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৬ জন তারই মাহুত।
দেশের সবচেয়ে লম্বা হাতির ঠিকানা ত্রিশূরের বডকুনাথন মন্দির। সেখানে নিয়মিত ফুল, মালা সাজিয়ে পুজো করা হয় তাকে। বিশাল এই হাতি ত্রিশূরের পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। দূরদূরান্ত থেকে তাকে দেখতে ভিড় করে জনতা।
ত্রিশূর পূরম উৎসবের শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে থাকে থেচিকোট্টুকাভু রামচন্দ্রন। এ ছাড়া আরও একাধিক উৎসবে তাকে অংশ নিতে দেখা যায়। এর আগে ২০১৯ সালে এই হাতির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেরল সরকার। শোভাযাত্রায় শব্দবাজির আওয়াজ শুনে সে উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল। তার পায়ের চাপে সে সময় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ২ জনের। তবে বেশ কিছু দিন নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও পরে তা তুলে নেওয়া হয়েছে। উৎসাহী জনতার সামনে সপ্তাহে দু’বার আনা হয় থেচিকোট্টুকাভু রামচন্দ্রনকে।
একাধিক বার পশু অধিকার রক্ষাকারীদের রোষের মুখে পড়েছে এই হাতির পালকরা। অভিযোগ ওঠে, দীর্ঘ ক্ষণ তাকে জোর করে তীব্র রোদে ঠায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এমনকি হাতিটিকে পর্যাপ্ত খাবার এবং জল দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। তবে মন্দির কর্তৃপক্ষ বার বার এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, কেরলের ধর্ম ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠেছে থেচিকোট্টুকাভু রামচন্দ্রন।