সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যের ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আপাতত যে দু’জন উপাচার্যকে রাজ্যপাল অস্থায়ী ভাবে নিয়োগ করেছেন, সুপ্রিম কোর্ট চাইলে তাঁদের স্থায়ী ভাবে নিয়োগ করে দিতে পারে।
সুপ্রিম কোর্ট আজ জানিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব, পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের অধীন ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়েই স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা দরকার। উপাচার্য নিয়োগে ‘সার্চ কমিটি’-র বদলে রাজ্যের নামের পাঠানো তালিকা থেকেই নিয়োগ করা যায় কি না, তা রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোসকে খতিয়ে দেখতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালতের এই অবস্থানের পরে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মন্তব্য করেছেন, সুপ্রিম কোর্ট ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা বোঝাপড়ার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে আগ্রহী। রাজ্যকে আরও নাম সুপারিশ করতেও বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রশ্ন হল, আচার্য কি বিষয়টি মেটাতে চান?
গত সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যপাল তথা আচার্যকে যে ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে, সেখানে এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ করতে বলেছিল। আজ মামলার শুনানির কথা থাকলেও আচার্যের তরফে কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরমনি সাংবিধানিক বেঞ্চের মামলায় ব্যস্ত থাকবেন বলে সোমবার বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চকে জানান, রাজ্যের পাঠানো তালিকা থেকে দু’জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। রাজ্যের তরফে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি জানান, যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁরা অস্থায়ী। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের মৌখিক পর্যবেক্ষণ থেকে স্পষ্ট, আচার্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানেননি। শ্লথ গতিতে কাজ হয়েছে বলেও সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করেছে।