Farmer

Fertilizer price: যুদ্ধের জেরে সারের দাম বাড়ল দ্বিগুণ

বাজেট অতিরিক্ত খরচের মধ্যে সব থেকে বেশি অর্থ বরাদ্দ হচ্ছে শহরের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে। প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২২ ০৮:২৩
Share:

ফাইল চিত্র।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা লাগল নরেন্দ্র মোদী সরকারের কোষাগারে।

Advertisement

যুদ্ধের ফলে সারের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। ফলে সারের ভর্তুকি ও বিদেশ থেকে সার আমদানির জন্য চলতি অর্থ বছরেই বাজেট-অতিরিক্ত মন্ত্রী প্রায় ১৪,৯০২ কোটি টাকা বাড়তি খরচ হবে।

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আজ চলতি অর্থ বছরে বাজেট অতিরিক্ত মোট ১.৫৮ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দের জন্য সংসদের অনুমতি চেয়েছেন। এর মধ্যে কোষাগার থেকে খরচ হবে প্রায় ১.০৭ লক্ষ কোটি টাকা। বাকি টাকা আসবে সরকারের সাশ্রয় থেকে। সার মন্ত্রকের জন্য বাড়তি ১৪,৯০২ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ করতে চাইছেন অর্থমন্ত্রী। সরকারি সূত্রের ব্যাখ্যা, দেশের মোট সার আমদানির ১১ থেকে ১১.৫ শতাংশ মতো সার রাশিয়া-ইউক্রেন-বেলারুস থেকে আসে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ঠেলায় সারের দাম গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। তেল ও গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ার জন্য সার তৈরির কাঁচামাল, অ্যামোনিয়া, ফসফেটের দামও বাড়েছে। ফলে দেশের বাজারে চাষিদের সস্তায় ইউরিয়া ও ফসফেট সার পৌঁছে দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ভর্তুকির বোঝা বাড়বে। বিদেশ থেকে আমদানির খরচও বেশি হবে।

Advertisement

বাজেট অতিরিক্ত খরচের মধ্যে সব থেকে বেশি অর্থ বরাদ্দ হচ্ছে শহরের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে। প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। গরিব, কম আয়ের পরিবারের বাড়ি কেনায় ঋণে ভর্তুকি দেওয়ার জন্য এবং গরিবদের আবাসন তৈরির জন্য পুরনো ঋণ শোধে এই খরচ হবে। গ্রামের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জন্যও রাজ্য সরকারকে অনুদানের জন্য প্রায় ৮,৩৫০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। কোভিডের টিকাকরণের জন্য রাজ্যগুলিকে আর্থিক সাহায্য করতেও ১৪ হাজার কোটি টাকা বাড়তি ব্যয় হচ্ছে।

রাজ্যগুলিকে জিএসটি ক্ষতিপূরণের তহবিলের জন্য অর্থমন্ত্রী সরকারি কোষাগার থেকে ৮১৪১ কোটি টাকা বাড়তি বরাদ্দ করছেন। অর্থমন্ত্রী আজ সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, জিএসটি চালুর পাঁচ বছর পরেও ক্ষতিপূরণ দিয়ে যাওয়ার জন্য একাধিক রাজ্য কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছে। এর আগে দু’দফায় বাজেট অতিরিক্ত ৫.৫ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ের জন্য অর্থমন্ত্রী সংসদে পূরক বাজেট পেশ করেছিলেন। এ বার তৃতীয় দফায় আরও প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা খরচ হবে। অর্থ মন্ত্রকের অবশ্য দাবি, বাড়তি খরচ হলেও রাজকোষ ঘাটতি বাড়বে না। কারণ, সরকারের রাজস্ব আয় বেড়েছে, খরচেও সাশ্রয় হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement