Jairam Ramesh

সংসদে সরকারের অন্য উদ্দেশ্য দেখছেন বিরোধীরা

বিরোধীদের স্পষ্ট আশঙ্কা, বিশেষ অধিবেশন ডাকার নেপথ্যে কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:১০
Share:

জয়রাম রমেশ। —ফাইল চিত্র।

সংসদের আসন্ন বিশেষ অধিবেশনের আগে প্রথম দফায় প্রকাশিত কর্মসূচি দেখে বিরোধীদের বক্তব্য, হাতির শুধু শুঁড় দেখা গিয়েছে। অধিবেশন শুরু হলে গোটা শরীরটা সামনে আসবে।

Advertisement

বিরোধীদের স্পষ্ট আশঙ্কা, বিশেষ অধিবেশন ডাকার নেপথ্যে কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। যে হেতু বিরোধীরা চাপ বাড়িয়েছে, তাই এখনকার মতো ‘নাম কা ওয়াস্তে’ একটি কার্যবিবরণী দিয়ে তাদের মুখ বন্ধের চেষ্টা করছে সরকার। সময় গড়ালেই এই অধিবেশনের প্রকৃত বিষয়বস্তু সামনে আসবে। আগামী সোমবার থেকে শুরু হতে চলা পাঁচ দিনের এই অধিবেশনে লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদদের হাজির থাকার জন্য হুইপ জারি করেছেন বিজেপির সংসদীয় নেতৃত্ব। বলা হয়েছে, সরকারের অবস্থানকে সমর্থন জানানোর জন্য তাঁদের সকলের উপস্থিত থাকাটা খুবই জরুরি।

প্রশ্ন হল, ঠিক কী বিষয় নিয়ে কোন ‘অবস্থান’ নেওয়া হবে? বিরোধীরা কিন্তু নিশ্চিন্ত নন। যে কার্যবিবরণী দেওয়া হয়েছে, তাতে কেবল ১৮ তারিখে সংসদে কী কাজ হবে, তার উল্লেখ রয়েছে। তার পরে কী হবে, সে বিষয়ে কোনও দিশা নেই। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের বক্তব্য, “কার্যবিবরণীতে একটি মারাত্মক লাইন রয়েছে। তা হল— এই কার্যবিবরণী যথেষ্ট নয়। অর্থাৎ এর পরেও শেষ মুহূর্তে কিছু যোগ করা হবে।” সরকারের উল্লেখ করা চারটি বিলের মধ্যে নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ সংক্রান্ত বিলটি গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যেই রাজ্যসভায় পেশ হওয়া ওই বিলটি পাশ করিয়ে লোকসভা ভোটের আগে বিচার বিভাগকে এড়িয়ে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের ক্ষমতা হাতে নিতে চাইছে মোদী সরকার। ডেরেকের প্রশ্ন, “সরকার কেন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে নিজেরা হস্তক্ষেপ করতে চাইছে? তারা কি ভয় পেয়েছে? আমরা ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে অধিবেশনের পাঁচ দিন এককাট্টা থাকব।”

Advertisement

কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, “শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে লেখা সনিয়া গান্ধীর চিঠির চাপে সরকারকে এই বিশেষ অধিবেশনের কর্মসূচি ঘোষণা করতে হল। এখনও পর্যন্ত যে কর্মসূচি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে প্রায় কোনওই জরুরি বিষয় নেই। এগুলির জন্য অনায়াসে শীতকালীন অধিবেশন পর্যন্ত অপেক্ষা করা যেত। আমি নিশ্চিত, অন্য বিস্ফোরক কিছু কিছু বিল আস্তিনে লুকিয়ে রেখেছে সরকার। শেষ মুহূর্তে সেগুলি প্রকাশ করা হবে। পর্দার পিছনে আরও কিছু আছে।’’ ইন্ডিয়া জোট অবশ্যই নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ সংক্রান্ত বিলের বিরোধিতা করবে বলে জানান রমেশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement