Supreme Court

নয়া লোকপাল বাছাই নিয়ে প্রশ্ন বিরোধীদের

বুধবার রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কমিটি পরবর্তী লোকপাল হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি খানউইলকরের নাম বেছে নিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:৪০
Share:

সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

নতুন লোকপাল হিসেবে নাম ঘোষণার আগেই সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এ এম খানউইলকরকে নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এ ইডি-র যে সব ক্ষমতা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল, বিচারপতি খানউইলকরের অবসরের ঠিক আগে তাঁর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সেগুলিতে সিলমোহর দেয়। তার আগে গুজরাতে ২০০২-এর সাম্প্রদায়িক হিংসায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে অভিযোগের মামলা এই বিচারপতির বেঞ্চই খারিজ করে দিয়েছিল। আজ বিরোধী শিবির থেকে দাবি উঠেছে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের পরে নতুন সুবিধা বা পদ গ্রহণ ঠেকাতে আইন তৈরি হওয়া দরকার।

Advertisement

বুধবার রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কমিটি পরবর্তী লোকপাল হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি খানউইলকরের নাম বেছে নিয়েছে। দুর্নীতি দমনকারী সংস্থার প্রধানের নাম এখনও অবশ্য সরকারি ভাবে ঘোষণা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও লোকসভার স্পিকার, লোকসভায় বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতা অধীর চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি ও তাঁর মনোনীত বিচারপতি ওই কমিটির সদস্য। বিচারপতি খানউইলকর ২০২২-এর জুলাইতে অবসর নেন। এর ঠিক আগে পিএমএলএ সংক্রান্ত মামলার রায় দেন তিনি। তারও আগে ইউএপিএ, এফসিআরএ-র যে সব ধারায় ব্যক্তিগত স্বাধীনতা লঙ্ঘন হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল, তাতেও সিলমোহর দিয়েছিলেন বিচারপতি খানউইলকর। সর্বোপরি ২০০২-এর গুজরাত হিংসায় নিহত কংগ্রেস নেতা এহসান জাফরির স্ত্রী জ়াকিয়া জাফরি নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা করেছিলেন, তা-ও খারিজ করে দিয়েছিলেন বিচারপতি খানউইলকর। সেই মামলার রায়ের ভিত্তিতেই সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

বিরোধী শিবিরে এ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে আজ সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘যে বিচারপতি অবসরের আগের দিন পিএমএলএ-র দানবীয় ধারায় সিলমোহর দিয়ে ইডি-র হাত শক্ত করেছিলেন, তাঁকে লোকপাল হিসেবে নিয়োগ করা হতে চলেছে। আমাদের এমন আইন চাই, যাতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের পরে সরকারি সুবিধা, পদ নেওয়া ঠেকানো যায়। না হলে তাঁদের নিরপেক্ষতা প্রভাবিত হয়।’ বিরোধী নেতাদের যুক্তি, প্রয়াত অরুণ জেটলিও সংসদে একই সওয়াল করেছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement