সিবিআই প্রধান সুবোধকুমার জয়সওয়ালের চাকরির মেয়াদ মে মাসের ২৫ তারিখ শেষ হচ্ছে। ফাইল চিত্র।
সিবিআইয়ের পরবর্তী অধিকর্তা কে হবেন, তা নিয়ে ঐকমত্য হল না নিয়োগ কমিটির বৈঠকে।
সিবিআই প্রধান সুবোধকুমার জয়সওয়ালের চাকরির মেয়াদ মে মাসের ২৫ তারিখ শেষ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সিবিআইয়ের দায়িত্ব কার হাতে তুলে দেওয়া হবে, তা নিয়ে আজ বৈঠকে বসেছিল নিয়োগ কমিটি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী এই কমিটির সদস্য। জানা গিয়েছে, বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, কর্নাটকের বর্তমান ডিজিপি প্রবীণ সুদকে সিবিআই ডিরেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। তবে ওই নামটিতে আপত্তি জানিয়েছেন অধীর। প্রবীণ সুদের সঙ্গে কর্নাটকের কংগ্রেস নেতৃত্বের সম্পর্কে জটিলতা রয়েছে। দলের নেতা ডিকে শিবকুমার একসময় ওই পুলিশ আধিকারিক সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এই প্রেক্ষাপটেই প্রবীণ সুদের নাম নিয়ে আপত্তি তোলেন অধীর। বৈঠকে ডিজি এনআইএ দীনকর গুপ্তের নামও প্রস্তাব করেছে সরকার। পাশাপাশি এসেছে মধ্যপ্রদেশের ডিজিপি সুধীর সাক্সেনার নাম।
প্রবীণ সুদের নামে আপত্তি তোলার পাশাপাশি, বৈঠকে অধীর বলেছেন, সরকার কখনওই সিবিআই অধিকর্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে কোনও মহিলা কিংবা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিকে বসানোর কথা ভাবে না। সেই সূত্রেই বৈঠকে আইপিএস আধিকারিক তাজ হাসান ও পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আইপিএস সুমন বালা সাহুর নাম উঠেছে। এই সময় সিবিআইয়ের দায়িত্বে থাকা জয়সওয়ালকে আবার নতুন করে নিয়োগ করা যায় কি না, তা নিয়েও সরকারের মধ্যে চিন্তাভাবনা ছিল। তবে আজকের বৈঠকেও কোনও নাম নিয়েই সিদ্ধন্ত নিতে পারেনি কমিটি।
শুধু সিবিআই প্রধানই নয়, পরবর্তী সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনার নিয়োগ নিয়েও আজ আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর, এখনকার সিভিসি পি কে শ্রীবাস্তবকেই ওই পদে রাখতে আগ্রহী কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, লোকপাল বাছাইয়ের কমিটিতে প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপালকে রাখার জন্য কেন্দ্রের তরফে প্রস্তাব হয়। নামটি নিয়ে কেউই আপত্তি তোলেননি।