স্বামী চিন্ময়ানন্দ। ফাইল চিত্র।
বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেল ও ধর্ষণের অভিযোগ তুলে দেশ জুড়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন আইনের ছাত্রী। যার জেরে গ্রেফতারও হতে হয় চিন্ময়ানন্দকে। এ বার ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগে ওই ছাত্রীকেই আটক করল বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)।
উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই অস্বস্তিতে পড়েছিলেন বাজপেয়ী সরকারের মন্ত্রী চিন্ময়ানন্দ। ছাত্রীর অভিযোগের চাপে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ঘটনার শুরু থেকেই অভিযোগকারিণীর বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগ করেছিলেন চিন্ময়ানন্দ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সোমবার এলাহাবাদ হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন ওই আইনের ছাত্রী। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। এর পরই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগে সচিন এবং বিক্রম নামে আরও দু’জনকে রিমান্ডে নিয়েছে সিট। এর আগে ওই একই অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সিটের প্রধান নবীন অরোরা দাবি করেছেন, আইনের ছাত্রী অস্বীকার করলেও, ধৃতরা সকলেই ব্ল্যাকমেলিং-এর কথা স্বীকার করে নিয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেলিং ছাড়াও, হুমকি, তথ্যপ্রমাণ লোপাট, তথ্যপ্রযুক্তি আইন ভাঙা-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সিটের দাবি, গত শুক্রবার জেরা চলাকালীন চিন্ময়ানন্দও স্বীকার করেন তিনি ওই ছাত্রীকে ‘ম্যাসাজ’ করতে বলেছিলেন। চিন্ময়ানন্দ মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর।
আরও পড়ুন: ‘মোদীর সঙ্গে পরবর্তী বৈঠক পর্যন্ত অপেক্ষা করুন’, ট্রাম্পের ‘উল্টো সুর’-এর পর বলল বিদেশ মন্ত্রক
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ-অস্ত্র দেওয়া অনুচিত, বিশ্বমঞ্চে নাম না করেই চিনের সমালোচনায় মোদী
ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ছাত্রী। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেছেন, ‘‘আমার মনে হয়, ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগকে লঘু করতেই এই সব নাটক করা হচ্ছে।’’