বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় সম্মেলনে উঠল সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। ছবি: সংগৃহীত।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় সম্মেলনে উঠল সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। সেখানকার ঘটনায় তারা দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছে। শনিবার ভিএইচপি-র সাধারণ সম্পাদক মিলিন্দ পারান্দে বলেন, ‘‘আমাদের সমভাবাপন্ন রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় না আনলে সন্দেশখালির মতো ঘটনা থেকে নিস্কৃতি মিলবে না। ওই রাজ্যে বন্ধু সরকার আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’’
সংগঠন প্রতিষ্ঠার ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করে ভিএইচপি। গত সপ্তাহে তিন দিন ধরে চলে ওই সম্মেলন। সেখানে ভিএইচপির আলোচনায় উঠে আসে এ রাজ্যের প্রসঙ্গ। সন্দেশখালি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। মিলিন্দ বলেন, ‘‘আমরা পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালিতে মা, বোন এবং সাধু-সন্তদের উপর হওয়া নৃশংস অত্যাচারের নিন্দা জানাই। কয়েক বছর ধরে স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় নারীরা সুরক্ষিত নন। মানবতার বিরুদ্ধে এই ধরনের অপরাধে জড়িতদের ফাঁসির দাবি করছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘অপরাধীরা শাসকদলের সদস্য। ক্ষমতাসীন দল তাদের রক্ষা করছে। হিন্দু সমাজ কখনই ওই নৃশংস কর্মকাণ্ড ভুলে যাবে না।’’
জাতীয় সম্মেলনে দেশ জুড়ে এক লক্ষ জায়গায় সংগঠনকে প্রসারিত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ভিএইচপি। তাদের ভাবনা, আগামিদিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংগঠনের কাজকর্ম ছড়িয়ে দিতে হবে। তাদের সংগঠনে রামমন্দির উদ্বোধনের প্রভাব পড়েছে বলে দাবি ভিএইচপির। তারা জানাচ্ছে, রামমন্দিরকে কেন্দ্র করে সংগঠন ব্যাপক ভাবে প্রসারিত হয়েছে।