অসহায়: মাচানের কাঠামোয় গলা আটকে রয়েছে মৃত রঙিলীর। নিজস্ব চিত্র
গুয়াহাটি চিড়িয়াখানার গলায় ফাঁস আটকে মারা গেল জিরাফ! চিড়িয়াখানা সূত্রে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাতে জিরাফদের খাঁচায় ঘাস খেতে দেওয়া হয়েছিল। ঘাস খাওয়ার সময় রঙিলী নামে স্ত্রী জিরাফটির মাথা ও গলা কোনও ভাবে মাচানের কাঠামোয় আটকে গিয়েছিল। গলা বার করতে না পেরে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে চার বছর বয়সি জিরাফটি মারা যায়। শুক্রবার তার দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আট বছর গুয়াহাটি চিড়িয়াখানা জিরাফহীন ছিল।
২০১৯-২০২০ সালে মাইসুরুর চামারাজেন্দ্র জ়ুলজিক্যাল পার্ক ও পটনার সঞ্জয় গাঁধী জৈবিক উদ্যান থেকে তিনটি জিরাফ গুয়াহাটি চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছিল। একটি পুরুষ জিরাফ আগেই মারা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে মারা গেল একমাত্র স্ত্রী জিরাফ। এখন কুলানন্দ নামে একটি পুরুষ জিরাফ থাকল চিড়িয়াখানায়।
চিড়িয়াখানার ডিএফও অশ্বিনী কুমার জানান, গলায় ফাঁস লেগে শ্বাসরোধ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনাটি সত্যি। কিন্তু ঠিক কী ভাবে এমনটা ঘটেছে, তা তদন্তের পরেই জানা যাবে। চিড়িয়াখানা সুরক্ষা মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক রাজকুমার বৈশ্য ঘটনার জন্য চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, “আরটিআই থেকে পাওয়া তথ্যই বলছে, ২০১৮ সালে প্রাণী বিনিময়ের মাধ্যমে
এখানে আনা সব ক’টি প্রাণীর মৃত্যু ঘটেছে। ২০১৭ সালের মে থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চিড়িয়াখানায় ৮৩৫টি প্রাণী মারা গিয়েছে। চিড়িয়াখানায় পাঠানো উদ্ধার হওয়া গন্ডারও মারা গিয়েছে। অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা জানাজানিহয় না, নথিভুক্তও হয় না। সমালোচনা হলেই নতুন প্রাণী এনে চমক দেওয়া হয়।”
তাঁর আরও অভিযোগ, “চিড়িয়াখানার ভিতরের হাসপাতালের যন্ত্রপাতি বিকল। সেখানে চিকিৎসকও সব সময় থাকেন না। বৃহস্পতিবার রাতে জিরাফটি গলায় ফাঁস আটকে নিশ্চয়ই অনেক ক্ষণ ছটফট করেছে। কিন্তু কোনও কিপার আশপাশে না থাকায় সে কষ্ট পেয়ে মারা গেল।”