—প্রতীকী চিত্র।
গর্ভপাত করাতে রাজি নয় ১৪ বছরের নাবালিকা। এমনই আর্জি নিয়ে সে দ্বারস্থ হয়েছিল দিল্লি হাই কোর্টে। দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পর নাবালিকাকে শিশুদের হোমে পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত।
এক যুবকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের পর সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েছে ওই নাবালিকা। পকসো আইনে সেই যুবক এখন কারাগারে। অন্য দিকে, গর্ভবতী নাবালিকাটির শারীরিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সে ২৭ সপ্তাহের প্রসূতি। এই পর্যায়ে গর্ভপাত করালে একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর পর হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় ওই নাবালিকা। আদালতের কাছে সন্তানধারণের আর্জি জানিয়ে নাবালিকা বলেছে জন্মের পর শিশুটিকে কোনও আশ্রমে রাখবে সে। নাবালিকাকে সমর্থন জানিয়েছেন তার ২২ বছরের দাদা।
হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘‘প্রেগন্যান্সি অ্যাক্টের মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি অনুযায়ী গর্ভপাত করাতে গেলে সংশ্লিষ্ট ‘মহিলা’র অনুমোদন লাগে। কিন্তু এক্ষেত্রে আবেদনকারী এক নাবালিকা। তাই ১৯৭১ সালের মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি অ্যাক্ট ২ (এ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নাবালিকার অভিভাবকের অনুমতি লাগে।’’ এর পর বিচারপতি জয়রাম ভম্বানির বেঞ্চের নির্দেশ, নাবালিকাকে শিশু হোমে রেখে দেখভাল করতে হবে। সন্তান জন্মানো পর্যন্ত নাবালিকার স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হবে সরকারকে।