(বাঁ দিকে) অরবিন্দ কেজরীওয়াল। সুনীতা কেজরীওয়াল (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের একটি ভিডিয়ো সরিয়ে নিতে বলে তাঁর স্ত্রী সুনীতা কেজরীওয়ালকে নোটিস দিল দিল্লি হাই কোর্ট। একই সঙ্গে ওই ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যম থেকে সরানোর জন্য ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স (সাবেক টুইটার) এবং ইউটিউবকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সমাজমাধ্যম কর্তৃপক্ষকে আদালত জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এই ধরনের কিছু চোখে পড়লে তা-ও সরিয়ে দিতে হবে।
আবগারি ‘দুর্নীতি’ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর কেজরীওয়ালকে যখন আদালতে হাজির করানো হয়েছিল, কোর্টের ভিতরে তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিয়ো রেকর্ডিং সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন আপ নেতা-কর্মীরা। সুনীতাও তেমনই একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন এক্সে। তা নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়া নিয়ে দিল্লি হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়।
বৈভব সিংহ নামে এক আইনজীবী কেজরীর ভিডিয়োর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলাটি করেন। মামলাকারী জানান, আদালত কক্ষের মধ্যেকার এই ধরনের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ, তা দিল্লি হাই কোর্টের ভিডিয়ো কনফারেন্সিং নিয়মের বিরোধী। ২০২১ সাল থেকে ওই নিয়ম চালু আছে। নিয়ম অনুযায়ী, আদালতের মধ্যেকার কোনও প্রক্রিয়ার ভিডিয়ো রেকর্ড করা যাবে না। সমাজমাধ্যমে এই ধরনের ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়াও যাবে না। কেজরীর ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে আপ নেতারা বিচার ব্যবস্থার অপমান করেছেন বলেও দাবি করেন মামলাকারী।
গ্রেফতারির পর গত ২৮ মার্চ দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারক কাবেরী বাওয়েজার বিশেষ বেঞ্চে দ্বিতীয় বারের জন্য হাজির করানো হয়েছিল কেজরীওয়ালকে। অভিযোগ, আদালতে যখন কেজরী নিজের বক্তব্য জানাচ্ছিলেন, সেই সময়ে তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা ভিডিয়ো রেকর্ড করেন। পরে তা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা হয়। কেজরীর স্ত্রী-ও তা শেয়ার করেন। একে কেজরীওয়াল এবং আপের চক্রান্ত বলেও আদালতে উল্লেখ করেছেন মামলাকারী।
এই সংক্রান্ত শুনানিতে শনিবার উচ্চ আদালত সুনীতাকে একটি নোটিস দিয়েছে। তাঁকে অবিলম্বে ওই ভিডিয়ো নিজের সমাজমাধ্যমের দেওয়াল থেকে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। ফেসবুক, এক্স, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবকেও ভিডিয়োটি নিজ নিজ প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দিতে বলেছে আদালত।