ছবি সংগৃহীত
প্রভাবশালী নেতার রাজনৈতিক লাভের জন্য দেওয়া বিবৃতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে তোলা সম্পর্কে যদি চিড় ধরে, তবে তা লজ্জার। সোমবার আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন এই মন্তব্য করার পরে তা নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক শিবিরে। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস। তৃণমূলের বক্তব্য, কোনও রাজনৈতিক দল বিদেশনীতি নিয়ে এ কথা বললে সরকার তা অগ্রাহ্য করতে পারে। কিন্তু দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোনও বিশেষজ্ঞ যখন একই কথা বলেন, তখন বিষয়টির গুরুত্ব অস্বীকার করতে পারে না সরকার।
রাজনৈতিক সূত্রের মতে, নাগরিকত্ব তালিকা ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ-এনআরসি) নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্যে ইতিমধ্যেই তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ঢাকা। বাংলাদেশকে বারবার পাকিস্তানের সঙ্গে এক সূত্রে গাঁথা এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিষয়ে তির্যক মন্তব্য সমস্যা সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া শাহ রাজস্থান এবং দিল্লির জনসভায় ভারতে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে ‘উইপোকা’র তুলনা করার পরে বাংলাদেশের অসন্তোষ আরও বেড়ে যায়।
আজ মেননের মন্তব্য প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, “আমি ওঁর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। এই ধরনের বিবৃতি বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে গুরুতর ক্ষতি করেছে। তবে এটাও ঠিক যে, এই ধরনের নেতার কাছ থেকে অন্য আর কী-ই বা আশা করা যায়!” কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর কথায়, “আমাদের দেশের প্রবীণ কূটনীতিক শিবশঙ্কর মেনন। বাংলাদেশ সংক্রান্ত তাঁর করা মন্তব্য, প্রবল ভাবে অর্থবহ এবং সম্পূর্ণ প্রাসঙ্গিক।’’
তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এই প্রসঙ্গে বলেন, “এ তো তৃণমূল বা কোনও রাজনৈতিক দলের অভিযোগ নয়। যাঁরা বিদেশনীতি সম্পর্কে অজ্ঞ, তাঁদের কথাও নয়। একজন অত্যন্ত অভিজ্ঞ বিশ্বাসযোগ্য কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞের কথা।’’