প্রতীকী ছবি।
বিচারপতি নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা নাম নিয়ে সরকারের টালবাহানায় ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট। তার উপরে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় গত কাল নাম না করে তোপ দেগেছে শীর্ষ আদালত। প্রয়োজনে এ নিয়ে নির্দেশ জারি করা হবে বলে জানিয়েছে বিচারপতি সঞ্জয় কিষেণ কউল ও বিচারপতি এ এস ওকার বেঞ্চ।
এর পরেই আজ বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি পদের জন্য সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সুপারিশ করা দু’টি নামে সম্মতি দিল কেন্দ্র। আইনজীবী সন্তোষ গোবিন্দরাও চপলগাঁওকর ও মিলিন্দ মনোহর সাঠায়েকে বম্বে হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি পদে নিয়োগে সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্র। গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সুপারিশ করা ১০টি নামে আপত্তি জানিয়েছিল কেন্দ্র। তাঁদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বি এন কিরপালের ছেলে সৌরভ কিরপাল। সূত্রের খবর, কলেজিয়ামের তরফে দ্বিতীয় বার পাঠানো কয়েকটি নামেও আপত্তি জানিয়েছিল সরকার। নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্রের আপত্তির পরে কলেজিয়াম কোনও নাম দ্বিতীয় বার সুপারিশ করলে সেই ব্যক্তিকে নিয়োগ করতে বাধ্য কেন্দ্র। অন্য দিকে বিচার বিভাগ নিয়ে মন্তব্যে রিজিজু ‘লক্ষ্মণরেখা’ পেরিয়ে গিয়েছেন, মনে করছেন হরিশ সালভের মতো প্রবীণ আইনজীবীরা।
অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের মতো সংস্থা তৈরির পক্ষে সওয়াল করলেন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে অরুণ গয়ালের নিয়োগ নিয়েও সুপ্রিম কোর্টে বিপাকে পড়েছে কেন্দ্র। কুরেশির বক্তব্য, ‘‘আমি অনেক বারই বলেছি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কমিশনে নিয়োগের পদ্ধতি সবচেয়ে ত্রুটিপূর্ণ। একতরফা ভাবে প্রশাসন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করে। কিন্তু গোটা বিশ্বেই এই ধরনের পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মধ্যে আলোচনার ব্যবস্থা চালু আছে।’’