ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
শেষ পর্যায়ে পৌঁছে আবার থমকে গেল উদ্ধার কাজ। উত্তরকাশীর সিল্কইয়ারা সুড়ঙ্গে নামা ধসের শেষ প্রান্তে পৌঁছতে পারলেন না উদ্ধারকারীরা। তার আগেই যান্ত্রিক গোলযোগে থমকে গেল গোটা প্রক্রিয়া। ফলে শুক্রবার রাতেও সুড়ঙ্গের ভিতর আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের উদ্ধার হওয়া অনিশ্চিত হয়ে গেল।
শুক্রবার সকালেই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পিএস ধামীই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, রাতের মধ্যে সুড়ঙ্গের ধসের বাধা পেরিয়ে বার করে আনা যাবে আটকে থাকা শ্রমিকদের। সেই মতো উদ্ধার প্রক্রিয়া চলছিল। ৫৭ মিটার ধসের বাধা সরাতে সরাতে ৪৬.৮ মিটার পর্যন্ত পথ অতিক্রম করেছিল খননের যন্ত্র অগার মেশিন। কিন্তু শেষ পর্যায়ে হঠাৎই যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে বন্ধ করতে হয় কাজ। উদ্ধারকারীরা জানিয়ে দেন, শুক্রবার রাতে ওই শ্রমিকদের সুড়ঙ্গ থেকে বার করে আনার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
শুক্রবার রাতে এই ঘটনার খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থল যান মুখ্যমন্ত্রী ধামী। পরে তিনি জানান, ‘‘পরিস্থিতি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। শেষ পর্যায়ে অনেক বেশি সাবধান হতে হবে। অনেক বেশি দ্রুততার সঙ্গেও কাজ করতে হবে।’’ এই মর্মে নির্দেশও দেন উদ্ধারকারীদের এবং জানিয়ে দেন, উদ্ধারকাজে প্রয়োজনীয় সমস্ত সাহায্য করবে সরকার। কোনও কিছুর অভাব হবে না। শুধু শ্রমিকদের নিরাপদে বাইরে নিয়ে আসা নিশ্চিত করতে হবে।
কিসের জন্য থমকে গেল উদ্ধার কাজ? সেই সমস্যার কোনও বিশদ ব্যাখ্যা দেননি আন্তর্জাতিক সুড়ঙ্গ বিশারদ আর্নল্ড ডিক্স। তবে সূত্রের খবর, যন্ত্রটি যে উঁচু জায়গার উপর রেখে খননের কাজ চালানো হচ্ছিল, সেই জায়গাটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। তার জন্যই থমকে গিয়েছে উদ্ধার কাজ।
আর্নল্ড অবশ্য আশাবাদী, খুব শীঘ্রই আবার উদ্ধারকাজ শুরু করা যাবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী শেষ পর্যায়ের কাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করতে বললেও আর্নল্ডের মত, তাড়াহুড়ো করলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে যেতে পারে।