করোনা-যোদ্ধাদের জন্য পুষ্পবৃষ্টি সেনার

হাসপাতালগুলির উপর ফুলের পাপড়ি বর্ষণের কথা ঘোষণা করল নরেন্দ্র মোদী সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২০ ০৪:২৭
Share:

প্রতীকী ছবি

প্রথমে থালাবাটি বাজানো। তার পর মোমবাতি জ্বালানো। তবে সে দু’টি কাজের ভারই ছিল দেশের জনগণের উপরে। আজ যখন গোটা দেশে লকডাউন আরও দুসপ্তাহ বাড়ানোর ঘোষণা নিয়ে নানা মহলে উৎকণ্ঠা বাড়ছে, তখন হাসপাতালগুলির উপর ফুলের পাপড়ি বর্ষণের কথা ঘোষণা করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। তবে এ বারে সে কাজ করবে দেশের সেনাবাহিনী। চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়ত সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, করোনা-যোদ্ধাদের কৃতজ্ঞতা জানাতে এবং তাদের উদীপ্ত করতে গোলাপের পাপড়ি বর্ষণের মতো বেশ কিছু উৎসবের আয়োজন করা হবে আগামী দিনে।

Advertisement

রাওয়তের কথায়, “আমাদের নিরাপদে রাখতে যে সমস্ত করোনা-যোদ্ধা নিরন্তর প্রয়াস করে চলেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। ভারতীয় বায়ুসেনা তাঁদের সম্মানে বিশেষ উড়ানের ব্যবস্থা করবে। মে মাসের ৩ তারিখে শ্রীনগর থেকে তিরুঅনন্তপুরম এবং ডিব্রুগড় থেকে কচ্ছ বায়ুসেনার বিশেষ উড়ান আকাশে ‘ফ্লাই পাস্ট’ করে করোনা-যোদ্ধাদের সম্মান জানাবে।’’ নৌবাহিনীর জাহাজগুলিকে আলো দিয়ে সাজানো হবে। পাশাপাশি তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন জেলায় করোনা-যুদ্ধে ব্যস্ত হাসপাতালগুলির মাথায় হেলিকপ্টার থেকে গোলাপের পাপড়ি বর্ষণ করা হবে। প্রায় প্রত্যেকটি কোভিড-১৯ হাসপাতালের সামনে বাজানো হবে সেনা ব্যান্ড।

আরও পড়ুন: দেশ জুড়ে ১৭ মে পর্যন্ত বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ​

Advertisement

আরও পড়ুন: সামাজিক দূরত্ব মেনেই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ট্রেন, সায় দিল কেন্দ্র​

সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বিভিন্ন শিবিরে। যখন করোনার ধাক্কায় দেশের এমনিতেই বেহাল অর্থনীতি আরও সঙ্কটে, ভিন্ রাজ্যের শ্রমিকদের অন্ন জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য সরকারগুলি, চিকিৎসকদের করোনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সাজসরঞ্জাম নেই— তখন এই ধরনের ব্যয়বহুল সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হল, সে প্রশ্ন উঠছে। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক জয়তী ঘোষের কথায়, “এই রকম একটা সময়ে সরকার এই ভাবে টাকা খরচ করছে! বরং সেনাবাহিনীর সাহায্য নিয়ে ভিন্ রাজ্যের শ্রমিকদের নিজেদের গ্রামে ফেরানো এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ বজায় রাখাটা জরুরি ছিল এই সময়।’’ বিরোধীদের অনেকেই অবশ্য বলছেন, যে সরকার দেশের এই সঙ্কটেও ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে দিল্লি সাজানোর সিদ্ধান্তে অনড় থাকতে পারে, তাদের কাছে মানবিক পদক্ষেপ আশা করাই অন্যায়। অনেকে আবার রসিকতা করে বলছেন, এ বারে আর আমজনতাকে কোনও ‘টাস্ক’ দেয়নি মোদী সরকার!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement