প্রতীকী ছবি।
শুধু ধর্মান্তরণই নয়, জঙ্গিদলে যোগ দিতে বেছে বেছে হিন্দু এবং খ্রিস্টান মেয়েদেরই শিকার বানাচ্ছে কেরলের ‘জিহাদি’রা। আর এই সতর্কবার্তা দিতে গিয়েই নতুন এক শব্দবন্ধের উদ্ভাবন করলেন কেরলের ধর্মযাজক মার যোশেফ কালারানগাট।
তাঁর দাবি, ‘নারকোটিক জিহাদ’-এর মাধ্যমে কমবয়সি মেয়েদের ফাঁদে ফেলছে জিহাদিরা। স্কুল, কলেজের কাছাকাছি ডেরা বাঁধছে তারা। কখনও আইসক্রিম পার্লার, সফট ড্রিঙ্কের দোকান দিচ্ছে তারা। আর সেই খাবারে মাদক মেশাচ্ছে। ধীরে ধীরে মাদকাসক্ত হয়ে পড়তেই মেয়েদের মগজধোলাইয়ের কাজ চালাচ্ছে জিহাদিরা। জঙ্গিদলে নাম লেখাতে উদ্ধুদ্ধ করছে বলেই দাবি ধর্মযাজকের।
এ প্রসঙ্গে তিনি কেরলের কয়েকটি উদাহরণও তুলে ধরেন। তিনি জানান, কেরল থেকে আফগানিস্তানে বেশ কয়েক জন মহিলা গিয়েছিলেন আইএস জঙ্গিদলে নাম লেখাতে। ধর্মযাজকের দাবি, জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে ওই মহিলাদের সঙ্গে কী কী ঘটেছিল তা খতিয়ে দেখা উচিত। কেরলের দুই মহিলা নিমিষা এবং সনিয়া সেবাস্তিয়ান আইএস জঙ্গিদলে নাম লেখাতে গিয়েছিলেন। তাঁরা ধর্মান্তরিত হওয়ার পর ফতিমা এবং আয়েষা নামে পরিচিত হয়েছেন। এ প্রসঙ্গ তুলে ধরে ধর্মযাজকের বক্তব্য, “ওই মহিলাদের এমন ভাবে মগজ ধোলাই হয়েছে তাতে তাঁরা নিজেদের পরিবার, পরিজন, ধর্ম এমনকি দেশ ছাড়তেও কুণ্ঠাবোধ করেননি।”
এ বিষয়েই সতর্কবার্তা দিয়ে ধর্মযাজকের দাবি, অবিলম্বে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না করা হলে জিহাদিরা ‘নারকোটিক জিহাদ’ নামক মগজ ধোলাইয়ের পদ্ধতি ব্যবহার করে আরও মেয়েদের জঙ্গিদলে নাম লেখাতে প্ররোচিত করবে।