জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপি-র প্রদেশ সভাপতি অনিল পারিহার। ছবি অনিল পারিহারের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সংগৃহীত।
জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেলেন জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপির প্রদেশ সভাপতি অনিল পারিহার ও তাঁর ভাই অজিত। বৃহস্পতিবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে শ্রীনগরের কিশ্তওয়ারে গুলিবিদ্ধ হন দু’জন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের। ঘটনার পরপরই কার্ফু জারি হয় গোটা এলাকায়। ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেনা টহলদারি শুরু হয়ে যায়।
এই নিয়ে গত এক মাসে শ্রীনগরে মোট তিনটি ঘটনায় প্রাণ হারালেন পাঁচ জন রাজনৈতিক নেতা, কর্মী। এর আগে জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ন্যাশনাল কনফারেন্সের দুই নেতা ও পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি)-র এক নেতার। অনিল পারিহার রাজনীতিতে আসেন ২৫ বছর আগে। ২০০৮ সালে তিনি জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল প্যান্থার পার্টি (জেকেএনপিপি)-র টিকিটে। অনিল অবশ্য সে বার ভোটে হেরে যান।
শ্রীনগরের সিনিয়র পুলিশ অফিসার দিলবাগ সিংহ বলেছেন, ‘‘কারা এই রাজনৈতিক নেতা, কর্মী খুনের ঘটনায় জড়িত, তাদের কারা মদত দিচ্ছে, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে।’’ ওই ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশকে ঘেরাও করেন।
আরও পড়ুন- বাঙালি হত্যার প্রতিবাদে তিনসুকিয়ায় বন্ধ, চলছে সেনা অভিযান
আরও পড়ুন- পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে চিন-পাকিস্তান বাস পরিষেবা! প্রতিবাদ দিল্লির
বিজেপি নেতা ও তাঁর ভাইয়ের খুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। নিন্দা করেছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, দলের নেত্রী বসুন্ধরা রাজেও।
& & & & राजनाथ सिंह জেলাশাসক আংরেজ সিংহ রানা জানিয়েছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিনিই সেনা তলব করেন শুক্রবার ভোরে। ভোর থেকেই সেনা জওয়ানদের টহলদারি শুরু হয় গোটা এলাকায়। ১৭ বছর আগে এই কিশ্তওয়ারেই জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারান ১৭ জন।
জেলাশাসক আংরেজ সিংহ রানা জানিয়েছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিনিই সেনা তলব করেন শুক্রবার ভোরে। ভোর থেকেই সেনা জওয়ানদের টহলদারি শুরু হয় গোটা এলাকায়। ১৭ বছর আগে এই কিশ্তওয়ারেই জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারান ১৭ জন।
& & & & राजनाथ सिंह
কিশ্তওয়ারের সিনিয়র পুলিশ অফিসার রাজিন্দার গুপ্তা জানিয়েছেন, অপরাধীদের খুঁজে বের করতে বিশেষ একটি দল গড়া হয়েছে।