আপাতত দশটি দেশের বিমানবন্দরে চিনফেরত যাত্রীদের দেখাতে হবে কোভিড রিপোর্ট। ফাইল চিত্র।
পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলির একাংশের দাবি, চিনে প্রতি দিন কয়েক কোটি মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও হাজারের ঘরে বলে খবর তাদের। চিনের তরফে অবশ্য এই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। আবার সরকারি তরফে কোনও তথ্যও প্রকাশ করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে শুধু ভারত কিংবা ইউরোপীয় দেশগুলিই নয়, মোট দশটি দেশের সমস্ত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চিনফেরত যাত্রীদের জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
ভারত আগেই জানিয়েছিল, চিন থেকে আসা সমস্ত যাত্রীকে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট দেখাতে হবে। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ হলে অর্থাৎ কোভিডে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সংক্রমিত নন, তা প্রমাণিত হওয়ার পরেই তাঁকে অন্যত্র যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হবে। তবে এই পরীক্ষাটি করতে হবে বিমানে ওঠার সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টা আগে। তার আগে পরীক্ষা করলে, সেই পরীক্ষার ফল গ্রাহ্য হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনুরূপ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আমেরিকা, ব্রিটেন, ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, মালওয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া কিংবা জাপানের মতো দেশগুলিও।
শুধু চিন নয়, হংকং, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইল্যান্ড থেকে আসা যাত্রীদের জন্যও আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে ভারত। আমেরিকা চিন, হংকং এবং ম্যাকাও থেকে আসা যাত্রীদের জন্য এই নিয়ম বলবৎ করেছে। আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে এই নিয়ম চালু করতে চলেছে আমেরিকা এবং ব্রিটেন। ইতালি আগেই এই নিয়ম চালু করে দিয়েছে। ফ্রান্স এই নিয়ম চালু করছে ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই। তবে ফ্রান্স কোভিডের র্যান্ডম পরীক্ষাকেও বৈধতা দিয়েছে।
চিনফেরত সমস্ত যাত্রীর নমুনার অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালি। ইতালির প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সে দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে নামা চিনফেরত যাত্রীদের মধ্যে ৫০ শতাংশই কোভিডে আক্রান্ত। স্পেন চিনফেরত যাত্রীদের আরটি-পিসিআর ছাড়াও কোভিড প্রতিষেধক নেওয়ার শংসাপত্রকে সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক করেছে।