লা নিনার প্রভাবে ভারতে বাড়বে শীত। ছবি: সংগৃহীত।
দুর্বল হচ্ছে এল নিনো। তাই এ বার ঋতুচক্রের উপর প্রভাব বাড়ছে লা নিনার। যার জের পড়তে চলেছে উত্তর ভারতের শীতকালীন আবহাওয়ায়। আবহবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি মাসে সেখানকার বিস্তীর্ণ অংশের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (৩৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট) নীচে চলে যেতে পারে।
আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা ডিটিএন-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট রেনি ভ্যান্ডেওয়েজ জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের অনুমান লা নিনার প্রভাবে এ বারের শীতে উত্তর-পূর্ব এশিয়া জুড়ে ঠান্ডা অনেকটাই বেশি পড়বে।’’
দক্ষিণ আমেরিকায় প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলবর্তী এলাকায় মোটামুটি ভাবে ৩ থেকে ৭ বছর অন্তর এল নিনোর প্রভাব দেখা যায়। জলস্তরের (সি সারফেস) তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যায়। ফলে, উপকূলবর্তী এলাকার বায়ুমণ্ডলও তেতে ওঠে। সমুদ্রের সেই অতিরিক্ত তাপ নির্গত হয় সমুদ্রপৃষ্ঠের বাতাসে। তার জেরে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। ভারতেও একাধিক বার তার প্রভাব পড়েছে।
এল নিনো সক্রিয় হলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ে আর তা দুর্বল হলে বিপরীত প্রতিক্রিয়ায় বাড়তে থাকে শীতলতা। তাকেই বলে লা নিনা। এ বছর লা নিনার প্রভাবে চিন। জাপান, কোরিয়ার মতো দেশে শৈত্যপ্রভাবেহ সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রেনি। ওই অঞ্চল থেকে ঠান্ডা বাতাস ঢুকে দক্ষিণ এশিয়ার কিছু অংশের তাপমাত্রা কমিয়ে দিতে পারে বলে তাঁর পূর্বাভাস।