রোহিত ভেমুলা। —ফাইল চিত্র।
রোহিত ভেমুলার মৃত্যুর তদন্তে ক্লোজ়ার রিপোর্ট দিয়েছিল পুলিশ। তদন্ত বন্ধের কথা জানিয়েছিল। সেই নিয়ে ‘সন্দেহ’ প্রকাশ করেছিলেন তাঁর মা এবং ভাই। এর পরেই তেলঙ্গানা পুলিশের ডিজিপি রবি গুপ্ত আবার তদন্ত করার নির্দেশ দিলেন। এই মামলাটি নতুন করে চালু করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি চেয়ে আবেদন জমা পড়েছে আদালতেও।
ডিজিপি জানিয়েছে, রোহিতের মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে ‘সন্দেহ’ প্রকাশ করেছেন তাঁর মা এবং ভাই। তার পরেই সিদ্ধান্ত। হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্টেলের ঘরে আত্মঘাতী হয়েছিলেন রোহিত। তাঁর মা জানিয়েছিলেন, তিনি দলিত। যদিও তাঁর বাবা দাবি করেছিলেন, তাঁরা অনগ্রসর শ্রেণির। সেই মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল অনেক। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছিল মোদী সরকার। আট বছর পর, শুক্রবার সেই মৃত্যুর তদন্ত বন্ধের নির্দেশ দেয় তেলঙ্গানা পুলিশ। ক্লোজ়ার রিপোর্টে তারা জানায়, রোহিত তফসিলি জাতির ছিলেন না। তাঁর জাতের শংসাপত্র ছিল ‘ভুয়ো’। সেটি প্রকাশের ভয়েই আত্মঘাতী হয়েছিলেন ছাত্র।
এই মামলায় সে সময় অভিযুক্ত হয়েছিল হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আপ্পা রাও, সেকেন্দরাবাদের বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বন্দারু দত্তাত্রেয়, বিধান পরিষদের সদস্য এন রামচেন্দার রাও, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি তখন দেশের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। ক্লোজ়ার রিপোর্টে তাঁদের সকলকে সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
২১ মার্চ এই ক্লোজ়ার রিপোর্ট দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তা প্রকাশ্যে এল লোকসভা ভোটের মধ্যে। ১৩ মে তেলঙ্গানায় ১৭টি লোকসভা আসনে ভোট রয়েছে। এখন তেলঙ্গানায় ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। আগে ছিল ভারত রাষ্ট্র সমিতি। সে সময় রোহিতের মৃত্যুর প্রতিবাদে শামিল হয়েছিল কংগ্রেস। বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সংসদে বিষয়টি তুলেছিলেন রাহুল। প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন আপ প্রধান কেজরীওয়াল। রোহিতের পরিবারের অভিযোগ ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ে দলিত বলে তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছিল। নেপথ্যে ছিল বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। রোহিতের পরিবারের আরও অভিযোগে, ক্যাম্পাসে তাঁর সঙ্গে কী ঘটেছিল তা দেখার পরিবর্তে জাতির শংসাপত্র নিয়েই বেশি ভাবিত পুলিশ। এ বার ক্লোজ়ার রিপোর্ট নিয়ে ফের অসন্তোষ প্রকাশ পরিবারের। তার পরেই সক্রিয় পুলিশ।