রবিবার রাতে মৃত্যু হয়েছে প্রীতির। পরিবারের দাবি, র্যাগিং করা হয়েছিল তাঁকে। ছবি: সংগৃহীত।
মৃত্যু হল হায়দরাবাদের মেডিক্যালের ছাত্রীর। গত সপ্তাহে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রী। চার দিন পর, রবিবার রাতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পরিবারের দাবি, র্যাগিং করা হয়েছিল তাঁকে। ছাত্রীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তফসিলি জাতি, জনজাতি আইন এবং র্যাগিং-বিরোধী আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তেলঙ্গানার ওয়ারাঙ্গলের কাকতীয় মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করতেন ২৬ বছরের ডি প্রীতি। এক সিনিয়র তাঁকে হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ। এর পরেই নিজের শরীরে ইঞ্জেকশন দেন প্রীতি। হাসপাতালে রাতের ডিউটি শেষ হওয়ার পর জ্ঞান হারান তিনি। এর পরেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হায়দরাবাদের এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
ওয়ারাঙ্গল পুলিশ কমিশনার এভি রঙ্গনাথ জানিয়েছেন, শেষ বার তাঁকে হাসপাতালের নাইট ডিউটিতে দেখা গিয়েছিল। অন্য চিকিৎসকদের তিনি জানিয়েছিলেন, মাথা এবং পেট ব্যথা করছে। তার পরেই ঘর থেকে বার হয়ে যান। এর পর তাঁকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রী এবং অভিযুক্ত ছাত্র মহম্মদ আলি সইফের হোয়াটসঅ্যাপ খতিয়ে দেখা হয়েছে। তা থেকে জানা গিয়েছে, প্রীতিকে র্যাগিং করা হয়েছিল। প্রীতি যে রাসায়নিক শরীরে প্রবেশ করিয়েছিলেন, তার পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলে তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
প্রীতির বাবার অভিযোগ, র্যাগিংয়ের বিষয়ে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে আগেই জানানো হয়েছিল। তার পরেও তাঁরা কোনও ব্যবস্থা নেননি। প্রীতির পরিবারের সদস্যেরা তাঁর দেহ ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। প্রীতি লাম্বাডা জনজাতির। ওই জনজাতির লোকজন কাকতীয় মেডিক্যাল কলেজ এবং হায়দরাবাদের যে হাসপাতালে প্রীতি ভর্তি ছিলেন, তার সামনে বিক্ষোভ দেখান।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় তফসিলি জাতি, জনজাতি কমিশন বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছে। প্রীতির কলেজ কর্তৃপক্ষকে নোটিস পাঠিয়েছে। হাসপাতালে প্রীতিকে দেখতে গিয়েছিলেন তেলঙ্গানার রাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দরারাজন। পরিবারের হাতে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।