মৃত ছাত্র তেকুম শিব কুমার। ছবি: সংগৃহীত।
পরীক্ষাকেন্দ্রে দেরিতে পৌঁছেছিল একাদশ শ্রেণির ছাত্র। তাই পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। ভেঙে পড়ে আত্মহত্যা করল কিশোর। তার আগে বাবাকে চিঠি লিখে ক্ষমাপ্রার্থনা করল সে। তেলঙ্গানার আদিলাবাদের ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতের নাম তেকুম শিব কুমার। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতনালা বাঁধ থেকে ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়েছে। বাঁধের কাছে উঁচু জায়গায় মিলেছে সুইসাইড নোট। সঙ্গে ছিল তাঁর ঘড়ি এবং ব্যাগ। ব্যাগে দু’টি ছবি মিলেছে। একটি ছাত্রের নিজের এবং দ্বিতীয়টি বাবার। পুলিশ মনে করছে, ওই উঁচু জায়গা থেকে ঝাঁপ দিয়েছে ছাত্রটি। তার আগে সেখানে নিজের ঘড়ি, ব্যাগ এবং সুইসাইড নোট লিখে রেখে গিয়েছে।
সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, ‘‘বাবা, আমি ক্ষমাপ্রার্থী। ক্ষমা করে দাও। এই আঘাত নিতে পারছি না। তুমি আমার জন্য অনেক করেছ, কিন্তু আমি কিছুই করতে পারিনি। এত খারাপ কখনও লাগেনি। এই প্রথম পরীক্ষা দিতে পারিনি। ভয়ঙ্কর লাগছে আমার।’’ ছাত্রের দেহ উদ্ধারের পর শনাক্ত করেছে তার পরিবার। ভেঙে পড়েছে তারা।
বুধবার থেকে তেলঙ্গানায় ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তেলঙ্গানা বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত এই পরীক্ষা দিচ্ছে ১০ লক্ষ পড়ুয়া। তেলঙ্গানা বোর্ড বরাবরই কড়া। বার বার তাদের বিধিনিষেধ প্রশ্নের মুখে পড়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে এক মিনিট দেরি হলেও পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয় না এই রাজ্যে। এ বার ছাত্রের মৃত্যুর পর আবারও কাঠগড়ায় তেলঙ্গানা শিক্ষা দফতর।