প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
জোর করে মদ খাইয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিল পরিবার। এ বার সেই দুই কিশোরীরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। বাড়ি থেকে ৪০০ মিটার দূরে একটি গাছ থেকে দুই কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়। আর এই ঘটনাকে ঘিরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে।
পুলিশকে দুই কিশোরীর পরিবার জানিয়েছে, বুধবার রাতে তারা শৌচকর্মের জন্য বেরিয়ে ছিল। তার পর বেশ কিছু ক্ষণ সময় কেটে যাওয়ার পরেও না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তখনই বাড়ি থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে একটি গাছ থেকে দুই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। কিশোরীরা ঘাতমপুর এলাকার একটি ইটভাটায় কাজ করত।
পরিবারের অভিযোগ, দিন কয়েক আগে ওই দুই কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে মদ্যপান করিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। আর এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ঠিকাদার রামরূপ নিশাদের পুত্র রাজু এবং ভাইপো সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে। পুলিশের কাছে কিশোরীদের পরিবার দাবি করেছে, সেই ঘটনার ভিডিয়োও তোলে রাজু এবং সঞ্জয়। তার পর দুই কিশোরীকে সেই ভিডিয়ো ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করত।
কানপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসিপি) হরিশ চন্দ্র সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, দুই অভিযুক্ত কিশোরীদের ভিডিয়ো তুলেছিল। তার পর সেগুলি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করত। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, সে কারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে দুই কিশোরী। এসিপি আরও জানিয়েছেন, ঠিকাদার এবং তাঁর পুত্র, ভাইপোর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ডি (গণধর্ষণ), ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া) এবং পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে।