Triple Talaq

‘তালাক-তালাক-তালাক’, হোয়াট্‌সঅ্যাপে স্বামীর ভয়েস মেসেজ পেয়ে থানায় স্ত্রী, গ্রেফতার যুবক

২০১৭ সালে জসমিন নামে এক যুবতীকে বিয়ে করেন আব্দুল। কিন্তু বছর দুয়েক ধরে দাম্পত্য কলহ চরমে ওঠে তাঁদের। তখন শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে দুই মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান জসমিন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৪ ১৮:২২
Share:

প্রতীকী চিত্র।

স্ত্রীকে হোয়াট্‌সঅ্যাপে ভয়েস মেসেজ করে তিল তালাক দিয়ে গ্রেফতার হলেন স্বামী। তেলঙ্গানার অদিলাবাদের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম আব্দুল আতিক। ৩২ বছরের ওই যুবক অদিলাবাদ শহরের কেআরকে কলোনির বাসিন্দা।

Advertisement

২০১৭ সালে জসমিন নামে এক যুবতীকে বিয়ে করেন আব্দুল। দম্পতির দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। কিন্তু বছর দুয়েক ধরে দাম্পত্য কলহ চরমে উঠেছিল তাঁদের। তখন শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে দুই মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন জসমিন। অন্য দিকে, আতিকও তার মধ্যে দ্বিতীয় বার বিয়ে করে ফেলেছেন। বিচ্ছেদ না দিয়ে বিয়ে করে নেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন জসমিন। ২০২৩ সালে দায়ের করা ওই মামলায় আতিকের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়। পাশাপাশি, খোরপোশ চাওয়া হয়। পরিবার আদালত ওই মামলায় আতিককে নির্দেশ দেয়, সন্তানদের দেখভালের জন্য স্ত্রীকে প্রতি মাসে ৭,২০০ টাকা করে পাঠাতে হবে। কিন্তু আদালতের নির্দেশ মানেননি আতিক। এই অভিযোগ করে আদালতের দ্বারস্থ হন জসমিন। এর পর আদালত থেকে সমন যায় যুবকের কাছে।

অভিযোগ, এতেই ক্ষেপে যান আতিক। স্ত্রীকে হোয়াট্সঅ্যাপে একটি ভয়েস মেসেজ পাঠান। জসমিন মেসেজ খুলতেই শুনতে পান, ‘‘তালাক-তালাক-তালাক।’’ পরিবারের সদস্যদের পরামর্শে আবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী। তার প্রেক্ষিতেই গ্রেফতার হয়েছেন আতিক। আপাতত তিনি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।

Advertisement

তিন তালাক এখন অসাংবিধানিক, বেআইনি এবং ধর্মবিরুদ্ধ। ২০১৭ সালে ‘তাৎক্ষণিক তিন তালাক’ (তালাক-ই-বিদ্দত) প্রথাকে ‘অসাংবিধানিক’ তকমা দেওয়ার পর ফৌজদারি অপরাধের তকমা দিয়ে তিন বছরের জেলের নিদান দিয়ে বিল আনে মোদী সরকার। কিন্তু প্রথম বার সেই বিল পাশ করাতে ব্যর্থ হয় তারা।

২০১৯ সালে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসেই তাই অসমাপ্ত কাজ সেরে ফেলতে উদ্যোগী হয় মোদী সরকার। ওই বছরের জুলাই মাসে প্রথমে লোকসভা এবং তার পরে রাজ্যসভায় পাশ করানো হয় তালাক-ই-বিদ্দতকে ফৌজদারি অপরাধের তকমা দেওয়া বিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement