রাহুলকে আক্রমণ এমএ খানের। ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস অব্যাহত ভাঙন! এ বার শতাব্দীপ্রাচীন দলের ‘হাত’ ছাড়লেন তেলঙ্গনার নেতা এমএ খান। বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবি আজাদের মতোই প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে শনিবার দলীয় নেতৃত্বের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠালেন খান। বলেছেন, ‘‘দলের পতনের কারণ রাহুল গাঁধীই।’’
রাজ্যসভার প্রাক্তন এই সাংসদ কংগ্রেস ত্যাগের কারণ হিসাবে বলেছেন, ‘‘কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিলাম....। সভাপতি হিসাবে রাহুল গাঁধী দায়িত্ব নেওয়ার পরই দল ডুবতে শুরু করেছিল। ওঁর চিন্তাভাবনা আলাদা। কারও সঙ্গে তা মেলে না। ব্লক স্তর থেকে বুথ পর্যায় পর্যন্ত কোনও নেতার সঙ্গেই সেই ভাবনার মিল খুঁজে পাবেন না।’’
রাহুলকে বিঁধে তেলঙ্গানার ওই কংগ্রেস নেতা এ-ও বলেছেন, ‘‘কয়েক দশক ধরে যে সমস্ত বর্ষীয়ান নেতা দলের ভিত মজবুত করেছিলেন, তাঁরাই এখন পদত্যাগ করছেন। উনি (রাহুল) জানেনই না, সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করতে হয়।’’ যে ভাবে একের পর এক নেতা দল ছাড়ছেন, তাতে আগামী নির্বাচনগুলিতে বৈতরণী পার করা কংগ্রেসের পক্ষে কঠিন হবে বলেই ধারণা খানের।
কংগ্রেস নেতাদের দলত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘শীর্ষনেতারা বাধ্য হয়েই দল ছাড়ছেন। কারণ, পণ্ডিত নেহরু, ইন্দিরা গাঁধী, সঞ্জয় গাঁধী, রাজীব গাঁধীর নেতৃত্বে দলের যে অঙ্গীকার ও দায়বদ্ধতা ছিল, তা পুনরুদ্ধার করতে কোনও পদক্ষেপই করছেন না শীর্ষ নেতৃত্ব।’’
গত শুক্রবার কংগ্রেস ছাড়েন বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবি। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে লেখা পাঁচ পৃষ্ঠার পদত্যাগপত্রে আজাদও রাহুলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। রাহুলের ‘অপরিপক্বতা’ নিয়ে সরব হয়েছেন। তার পর, আবারও রাহুলকে বিঁধে কংগ্রেসের আরও এক নেতা যে ভাবে ইস্তফা দিলেন, তাতে সেই দলে অস্বস্তি বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।