প্রতীকী ছবি।
ধর্ষণে বাধা পেয়ে এবং কুকর্ম ফাঁস হওয়ার আশঙ্কায় আট বছরের এক বালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করল বছর ষোলোর এক কিশোর। উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধে থেকেই নিখোঁজ ছিল ওই বালিকা। পরের দিন সকালে বিজনৌরের শেরকোট অঞ্চলের একটি আখের খেত থেকে উদ্ধার করা হয় তার দেহ। রবিবার দুপুরে অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পকসো-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই ঘটনার পরে ফের যোগী রাজ্যের নারী-নিগ্রহ নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
বিজনৌরের পুলিশ সুপার ধর্মবীর সিংহ জানিয়েছেন, নাতনির নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছিলেন মৃতার দাদু। শুক্রবার সন্ধেবেলা শেষ বার তাকে বাড়ির সামনে খেলতে দেখা গিয়েছিল। নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ খোঁজ শুরু করে। কিন্তু সে দিন রাতে হদিস মেলেনি নাবালিকার। শনিবার সকালে ফের তল্লাশি শুরু হলে আখের খেতে পাওয়া যায় তার দেহ। পুলিশ সুপার জানান, অভিযুক্ত জানিয়েছে, প্রলোভন দেখিয়ে আখের খেতে প্রতিবেশী ওই নাবালিকাকে নিয়ে গিয়েছিল সে। সেখানে ধর্ষণে বাধা পেয়ে জানাজানি হওয়ার আশঙ্কায় শ্বাসরোধ করে বালিকাকে খুন করে সে। রাতেই ফিরে আসে গ্রামে। নিজের উপর থেকে সন্দেহ দূর করতে নাবালিকার খোঁজেও শামিল হয়।
একই সঙ্গে এ দিন সামনে এসেছে মধ্যপ্রদেশের সিংগরৌলী এবং ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে দু’টি পৃথক নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা। সিংগরৌলীতে পাঁচ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ৬৫ বছরের এক প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির কাছেই একটি মুদি দোকানে বিস্কুট কিনতে গিয়েছিল নাবালিকা। সেই সময়েই তাকে লোভ দেখিয়ে নিকটবর্তী একটি খামারবাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত রামবিশাল প্রজাপতি। গোটা ঘটনায় আতঙ্কে প্রাথমিক ভাবে মুখ না খুললেও রাতে প্রবল শারীরিক যন্ত্রণায় কাঁদতে কাঁদতে পরিজনকে সমস্ত ঘটনা জানায় নির্যাতিতা। শুক্রবার তার পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর পরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্য দিকে ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে নিয়ে দুপুরে বেড়িয়েছিল এক যুবক (২১)। তবে আনন্দ এক লহমায় বদলে গেল দুঃস্বপ্নে। অভিযুক্ত হিমাংশু গুপ্ত ও তার দুই বন্ধু ধর্ষণ করে ওই কিশোরীকে।
পুলিশ সুপার অজয় যাদব জানিয়েছেন, রবিবার রাতে নির্যাতিতা ও তার বাবা-মা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। হিমাংশু নির্যাতিতার পরিবারের পরিচিত। ১৭ নভেম্বর জনতা কলোনিতে এই ঘটনা ঘটে। গণধর্ষণের পরে নির্যাতিতাকে তার বাড়ির সামনে নামিয়ে দেয় অভিযুক্তেরা। বিষয়টি পাঁচ কান না-করার জন্য হুমকিও দেয়। তবে রবিবার পরিজনকে গোটা ঘটনা জানায় নির্যাতিতা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত তিন জনই পলাতক। তবে শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার।