কিশোরী পুলিশকে জানায়, সে হাঁটতে বেরিয়েছিল। ঘরে ফিরে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে মা। কিন্তু কিশোরীর বয়ানে অসঙ্গতি লক্ষ করেন তদন্তকারীরা।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বাসন পরিষ্কার করতে বলেছিলেন মা। আর তাতেই বেজায় চটেছিল কিশোরী। তার উপর তাঁকে বকুনি দেওয়ায় মেজাজ সপ্তমে চড়ে যায়। তার পরই হাতে থাকা ফ্রাইং প্যান দিয়ে মায়ের মাথায় পর পর আঘাত করে সে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন মহিলা। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের বয়স ৩০। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মেয়েকে নিয়ে গ্রেটার নয়ডায় একটি আবাসনে থাকতেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেয়ে বাড়ি ফেরার পর বাসন ধোয়া নিয়ে মেয়ের সঙ্গে বচসা হয় মহিলার। তখনই আচমকাই তাঁর উপর হামলা চালায় মেয়ে।
রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে অচৈতন্য হয়ে গেলে প্রতিবেশীদের ডাকে কিশোরী। তাঁদের কাছে জানায়, মা পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। এর পরই প্রতিবেশীরা মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ আধিকারিক রণবিজয় সিংহ জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে কিশোরী তাঁদের জানায়, সে হাঁটতে বেরিয়েছিল। ঘরে ফিরে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে মা। কিন্তু কিশোরীর বয়ানে অসঙ্গতি লক্ষ করেন তদন্তকারীরা। তার পরই তাঁরা আবাসন এবং ফ্ল্যাটের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। যে সময়ের কথা কিশোরী বলেছিল ওই সময়ে কেউ বাইরে বেরোয়নি, ঢোকেওনি। প্রতিবেশীদেরও জিজ্ঞাসা করেন তদন্তকারীরা। এর পরই ফের কিশোরীকে জেরা করেন তাঁরা। তখনই কিশোরী সত্য ঘটনাটি জানান তদন্তকীরাদের। কিশোরীর বিরুদ্ধে তার মামা অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কিশোরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে সংশোধনাগারে পাঠিয়েছে তারা।