Pune Porsche Crash

কোনও কলেজ ভর্তি নিচ্ছে না পুণের পোর্শেকাণ্ডের অভিযুক্ত সেই কিশোরকে! দাবি আইনজীবীর

গত ১৯ মে পুণের কল্যাণী নগরে মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে দু’জন পিষে মারার অভিযোগ ওঠে কিশোরের বিরুদ্ধে। সে এখনও কোনও কলেজে ভর্তি হতে পারেনি বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৪৪
Share:

পুণেতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত পোর্শে গাড়ি। —ফাইল চিত্র।

পুণের পোর্শেকাণ্ডে অভিযুক্ত কিশোর কলেজে ভর্তি হতে পারছে না। এমনটাই দাবি করলেন তার আইনজীবী। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলার কারণে কোনও কলেজ তাকে ভর্তি নিতে চাইছে না বলে অভিযোগ। শুক্রবার জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে এ কথা জানিয়েছেন কিশোরের আইনজীবী।

Advertisement

পোর্শেকাণ্ডে অভিযুক্ত কিশোর সম্প্রতি দ্বাদশ শ্রেণির গণ্ডি পেরিয়েছে। দিল্লির একটি কলেজে বিবিএ কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন জানিয়েছিল সে। কিন্তু অভিযোগ, সাম্প্রতিক ঘটনার কারণে ওই কলেজ কর্তৃপক্ষ কিশোরের ভর্তির আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। তার আইনজীবী জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক ঘটনার প্রভাব যেন কিশোরের পড়াশোনা বা ভবিষ্যৎ কেরিয়ারের উপর না পড়ে। বোর্ড সদস্যদের তা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আইনজীবীর যুক্তি, ভারতীয় সংবিধানে প্রত্যেক নাগরিকের শিক্ষার অধিকার স্বীকৃত। অভিযুক্ত কিশোর নিজের পছন্দমতো কলেজে ভর্তি না হতে পারলে তা সংবিধানের অবমাননা করা হবে।

গত ১৯ মে পুণের কল্যাণী নগরে মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে দু’জন পিষে মারার অভিযোগ উঠেছিল কিশোরের বিরুদ্ধে। ১৮ বছর না হওয়ায় তার লাইসেন্স ছিল না। তা সত্ত্বেও চালককে পাশে বসিয়ে সে স্টিয়ারিং ধরেছিল বলে অভিযোগ। এমনকি, কিশোর মত্ত অবস্থায় ছিল বলেও পুলিশ দাবি করেছে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই গাড়ি দুই আইটি ইঞ্জিনিয়ারকে ধাক্কা মেরেছিল। দু’জনেরই মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় কিশোরকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে বিবেচনা করেই তদন্ত করা উচিত বলে দাবি করেছে পুণে পুলিশ। জুন মাসে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য-সহ রিপোর্ট জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে জমা দিয়েছে তারা। অভিযোগ, ঘটনার পর কিশোরের গাড়ি চালানোর বিষয়টিকে আড়াল করতে নানা কৌশল অবলম্বন করেছিল তার পরিবার। চালকের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টাও করা হয়েছিল। কিশোরের রক্তের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসতেই সেই নমুনা বদলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পরিবারের বিরুদ্ধে। শুধু তা-ই নয়, অভিযোগ, ঘুষ নিয়ে এই কাজে সহযোগিতা করেছিলেন সরকারি হাসপাতালের কয়েক জন চিকিৎসকও। সেই সংক্রান্ত তদন্তও চলছে। তার মাঝে কিশোরকে কলেজে ভর্তি করানো যাচ্ছে না বলে জানালেন তার আইনজীবী।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement