Father Kills Son

স্ত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে সন্দেহে তিন বছরের পুত্রের গলা কাটলেন বাবা! দেহ ফেলে এলেন জঙ্গলে

মাধবের মোবাইলের টাওয়ারের অবস্থান দেখে তাঁর খোঁজ শুরু করে পুলিশ। পুণেরই একটি লজে তাঁর খোঁজ মেলে। সেখানে মত্ত অবস্থায় পড়েছিলেন তিনি। হুঁশ ফিরলে ছেলেকে হত্যার কথা স্বীকার করেন মাধব।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৫ ১৭:৩২
Share:
তিন বছরের শিশুকে খুনের অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে।

তিন বছরের শিশুকে খুনের অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

তিন বছরের শিশুপুত্রের গলা কেটে খুনের অভিযোগ উঠল ৩৮ বছরের যুবকের বিরুদ্ধে। পুণের ঘটনা। শহরের একটি লজ থেকে মাধব টিকেটি নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিশু পুত্রকে খুন করেছেন বলে জেরায় স্বীকার করেছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ ছিল যুবকের। সেই নিয়ে নিত্য ঝামেলা চলত। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, সেই সন্দেহের বশে নিজের পুত্রকে খুন করেছেন তিনি।

Advertisement

মাধব অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের বাসিন্দা। তিনি পেশায় প্রযুক্তিবিদ। পুণের একটি সংস্থায় কাজ করতেন। সেখানেই স্ত্রী স্বরূপা টিকেটি এবং একমাত্র পুত্র হিম্মত টিকেটিকে নিয়ে থাকতেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন মাধব। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। তার পরে শিশুপুত্রকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। দুপুরের বেশ কিছু সময় একটি পানশালায় কাটিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে প্রথমে একটি সুপার মার্কেটে এবং পরে চন্দননগর এলাকার এক জঙ্গলে গিয়েছিলেন তিনি। স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তা জানতে পেরেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাত হয়ে গেলেও পুত্রকে নিয়ে মাধব বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন হন স্ত্রী স্বরূপা। ওই রাতেই তিনি থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। সেই ফুটেজ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটের সময় শেষ বার পুত্রের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল মাধবকে। তার পরে বাজারের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, তিনি কিছু জমাকাপড় কিনছেন। সে সময় তাঁর সঙ্গে ছিল না খুদে হিম্মত। সেই দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। মাধবের মোবাইলের টাওয়ারের অবস্থান দেখে তাঁর খোঁজ শুরু করে পুলিশ। পুণেরই একটি লজে তাঁর খোঁজ মেলে। সেখানে মত্ত অবস্থায় পড়েছিলেন তিনি। হুঁশ ফিরলে ছেলেকে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি। সেই সূত্র ধরেই জঙ্গল থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই জঙ্গলেই খুন করা হতে পারে শিশুটিকে। তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘শিশুটির মা থানায় এসে তার নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করেন। আমরা তদন্ত শুরু করি। একটি লজ থেকে মত্ত অবস্থায় শিশুটির বাবাকে উদ্ধার করা হয়। তিনি খুনের কথা স্বীকার করেছেন। আমরা তাঁকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়েছি। খুনের মামলা রুজু হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement