কড়া নির্দেশ গুজরাত হাই কোর্টের। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
গুজরাত হাই কোর্টে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এক মামলার শুনানি চলছিল। অভিযোগ, মামলায় বিবাদী পক্ষের পুত্র শৌচালয়ে বসে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিয়েছিলেন শুনানিতে। এই ঘটনায় দাভলভাই কানুভাই অম্বালাল পটেলকে ২ লক্ষ টাকা দিতে বলল গুজরাত হাই কোর্ট। বিচারপতি এমকে ঠাক্কর পর্যবেক্ষণে জানান, ৪২ বছরের দাভলভাইয়ের এই আচরণ মানা যায় না। এই ধরনের কাজকর্ম আদালতের পক্ষে অবমাননাকর।
৫ মার্চ উচ্চ আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছিল, ‘‘এই ঘটনা একেবারেই মানা যায় না। এটা লজ্জাজনক এবং নিন্দনীয় ঘটনা। এই ধরনের ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালত কড়া পদক্ষেপ না করলে সাধারণ মানুষের চোখে এই প্রতিষ্ঠানের সম্মান কমে যাবে।’’
১৭ ফেব্রুয়ারি গুজরাত হাই কোর্টে একটি শুনানিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিয়েছিলেন দাভোলভাই। সেই শুনানির ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। তার পরেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। সোলা থানার থেকে এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছিল উচ্চ আদালত। পুলিশ রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছিল, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টের শুনানিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ‘কানুভাই’ নামে যোগ দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তিনি ‘অভব্য’ আচরণ করার কারণে ওই শুনানি থেকে তাঁর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ওই ব্যক্তি আবার শুনানি যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেন। তার পরেও হাই কোর্টের তরফে তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
২৭ ফেব্রুয়ারি গুজরাত হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, ৫ মার্চ দাভোলভাই এবং তাঁর বাবা (উদ্দিষ্ট মামলার বিবাদী পক্ষ ছিলেন)-কে উপস্থিত থাকতে হবে। ওই শুনানিতে দাভোলভাইয়ের আইনজীবী জানান, তিনি ভুল করে শৌচালয়ে বসে হাই কোর্টের শুনানিতে যোগ দিয়ে ফেলেছিলেন। যোগদানের প্রযুক্তি এবং প্রক্রিয়ায় তিনি সড়গড় নন। আদালত তা মানতে চায়নি। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, দাভোলভাইয়ের বয়স ৪২ বছর। তিনি স্নাতক পাশ করেছেন। একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তাই অনলাইনে জুম কলের মাধ্যমে শুনানিতে যোগদানের পদ্ধতি তাঁর অজানা হতে পারে না। এর পরেই আদালত তাঁকে ২ লক্ষ টাকা দিতে বলে।