যোগাযোগ, সরঞ্জাম, উদ্ভাবন, সুরক্ষা, স্থিতিশীলতা— এই পাঁচ মাপকাঠির ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে রিপোর্ট। —প্রতীকী চিত্র।
ডিজিটাল লেনদেনে বহু দিন ধরেই জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। করোনার সময় থেকে তার প্রসারও বেড়েছে বিপুল হারে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের আর্থিক ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের নিরিখে আমেরিকা এবং চিনের পরেই জায়গা করে নিল ভারত। সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর রিসার্চ অন ইন্টারন্যাশনাল ইকনমিক রিলেশন্স’-এর সমীক্ষায় দাবি, অল্পবয়সিদের প্রযুক্তিতে আগ্রহ, সরকারের আধারের মতো প্রযুক্তি নির্ভর পরিষেবা, স্মার্ট ফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধিই দেশকে এ ক্ষেত্রে তৃতীয় স্থানে তুলে এনেছে। তবে দ্রুত প্রযুক্তির প্রসারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সাইবার হানাও, অর্থাৎ ডিজিটাল আর্থিক প্রতারণা। যার শিকার হচ্ছেন বহু সাধারণ মানুষ। যা বাড়িয়েছে আশঙ্কাও।
যোগাযোগ, সরঞ্জাম, উদ্ভাবন, সুরক্ষা, স্থিতিশীলতা— এই পাঁচ মাপকাঠির ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে রিপোর্টটি। যেখানে দাবি করা হয়েছে, বহু দেশের তুলনায় দ্রুত ৫জি প্রযুক্তি এনেছে ভারত। তার হাত ধরে ডিজিটাল লেনদেন আগের থেকে আরও উন্নতি করেছে। তবে এখনও এ দেশের অনেক মানুষ স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন না। যে কারণে সব মিলিয়ে ডিজিটাল পরিষেবা ব্যবহারকারীর নিরিখে দেশ বেশ কিছুটা পিছনে। স্থান ২৮ নম্বরে।
উপদেষ্টার পরামর্শ, এই পরিস্থিতিতে গ্রাহককে ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সুরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত করায় আরও জোর দিতে হবে। চেষ্টা করতে হবে এই পরিষেবার খরচ যাতে না বাড়ে, তা নিশ্চিত করার। তবেই উন্নতির পথে আরও দ্রুত এগোতে পারবে দেশ।