গত তিন বছর ধরে বিয়ের সংখ্যা কমছে চিনে। —ফাইল চিত্র।
দেশের জনসংখ্যা বাড়াতে ইতিমধ্যেই নানা ধরনের আর্থিক অনুদান চালু করেছে চিন। এ বার বিয়ের আইনও শিথিল করছে তারা। এই নতুন নিয়মের ফলে আর্থিক ভাবে লাভবান হবে নতুন প্রজন্ম, দাবি সরকারি সূত্রের।
এত দিন যে আইন চালু ছিল, তাতে বিবাহ নথিভুক্ত করার জন্য পাত্র ও পাত্রীকে তাদের স্থায়ী ঠিকানা যে শহরে, সেখানে গিয়ে আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হত। অর্থাৎ, কারও যদি বাড়ি গ্রামে বা মফস্সলে হয়, এবং তিনি চাকরি সূত্রে বেজিংয়ে থাকেন, তা হলে এত দিন তিনি বেজিংয়ে বিয়ে নথিভুক্ত করতে পারতেন না। তাঁকে যেতে হত দেশের বাড়িতে। তাতে এক দিকে যেমন সময় যেত, তেমনই যাতায়াতের ভাড়াও গুনতে হত। সরকারি সূত্রের দাবি, নতুন নিয়মের ফলে দম্পতিদের সময় ও খরচ দু’টোই কমবে, ফলে বিয়েতেও উৎসাহ বাড়বে তাঁদের।
গত তিন বছর ধরে বিয়ের সংখ্যা কমছে চিনে। সরকারি তথ্য বলছে, তার আগের বছরের থেকে ২০ শতাংশ বিয়ে কম হয়েছে ২০২৪-এ। পাল্লা দিয়ে কমছে শিশুজন্মের হারও। তারই মোকাবিলায় নিত্যনতুন ‘উৎসাহভাতা’ আনছে সরকার।