ঘর থেকে উদ্ধার হয় শিক্ষকের দেহ। তখনও মোবাইলের ক্যামেরা চালু ছিল। প্রতীকী ছবি।
ঘরে বসে অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছিলেন এক শিক্ষক। বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন তখন। হঠাৎই সেখানে হাজির হন দুই ব্যক্তি। শিক্ষককে প্রথমে মারধর করেন, তার পর তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। এই ঘটনা যখন ঘটছিল, শিক্ষকের মোবাইল ক্যামেরা চালু ছিল। ফোনের অপর প্রান্তে পড়ুয়ারা ছিলেন। অসহায় ভাবে শিক্ষককে খুন হতে দেখেন তাঁরা।
ভয়ানক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের অম্বেডকর নগর জেলায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত শিক্ষকের নাম কৃষ্ণকুমার যাদব। ফরবেসগঞ্জে একটি বাড়ি ভাড়া থাকতেন। সঙ্গে বোনও থাকতেন ওই বাড়িতে। দু’জনেই বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক। গত শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে। সে সময় কৃষ্ণের বোন বাড়িতে ছিলেন না।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্তদের এক জনের সঙ্গে কৃষ্ণের বোনের সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের কথা জানার পর কৃষ্ণের সঙ্গে বচসা হয়েছিল ওই অভিযুক্তের। তার জেরেই এই খুন বলেই মনে করছে পুলিশ।
অম্বেডকর নগর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবরাজ জানিয়েছেন, ২ অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা হলেন সন্দীপ যাদব এবং জাহির মিশ্র। জেরায় সন্দীপ জানিয়েছেন, কৃষ্ণের বোনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি নিয়ে কৃষ্ণ তাঁকে গালিগালাজ করেছিলেন। তাই বদলা নেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। বন্ধু জগ্গার সাহায্যে কৃষ্ণকে খুনের পরিকল্পনা করেন। তার পর শনিবার বাড়িতে ঢুকে কৃষ্ণকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন।