— প্রতীকী ছবি।
তাঁর ছাত্রেরা লাইন দিয়ে ভর্তি হচ্ছে অন্য স্কুলে। সেই ‘অপমানে’ বিষপান করে নিজেকে শেষ করে দিলেন এক শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পুণের একটি জেলা পরিষদ স্কুলে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ওই শিক্ষকের অত্যন্ত ছাত্রবৎসল বলেই পরিচিতি ছিল এলাকায়।
পুণে জেলার দাউন্দ তহসিলের হোলে বস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডেপুটি টিচার অরবিন্দ দেবকর। মাত্র দু’মাস আগে এই স্কুলে বদলি হয়ে আসেন অরবিন্দ। অভিযোগ, ক’দিন আগে তিনি স্কুলের পড়ুয়াদের বলেছিলেন, সবাই মিলে স্কুল চত্বর পরিষ্কার করবেন। কিন্তু নিজের স্কুল নিজে সাফ করায় আপত্তি ছিল ছাত্রদের। তাঁরা বাড়িতে এ ব্যাপারে নালিশ জানায়। রেগে যান ছাত্রদের অভিভাবকেরাও। কেন শিক্ষক স্কুল পরিষ্কার করার কথা বলেছেন, এই অভিযোগ তুলে তাঁরা সন্তানদের ওই স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে অন্য স্কুলে ভর্তি করা শুরু করেন। ১০ পড়ুয়ার মধ্যে ন’জনই অন্য স্কুলে ভর্তি হয়ে যায়। যা দেখে হতবাক হয়ে যান অরবিন্দ। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। তার পরেই চরম সিদ্ধান্ত নেন।
জানা গিয়েছে, মানসিক ভাবে ভেঙে পড়া অরবিন্দ স্কুলের মধ্যেই বিষপান করেন। তাঁকে তড়িঘড়ি নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। সেখানে অরবিন্দ লিখে গিয়েছেন, ছাত্রদের এবং তাঁদের মা, বাবার মন জিততে না পারার ব্যর্থতা তিনি নিজের কাঁধে নিয়েছেন। এই কারণেই নিজেকে শেষ করে দিচ্ছেন তিনি।
গত ১৯ বছর ধরে স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি করছেন অরবিন্দ। মাত্র দু’মাস আগে তিনি বদলি হয়ে আসেন হোলে বস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অতীতে আদর্শ শিক্ষকের পুরস্কারও পেয়েছেন অরবিন্দ। এ হেন শিক্ষকই পড়ুয়াদের অন্য স্কুলে ভর্তি হওয়ায় কষ্ট পেয়ে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন।