ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। —প্রতীকী চিত্র।
দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের চেষ্টার অভিযোগে এক শিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযোগ, ওই শিক্ষক ছাত্রীকে ‘কুপ্রস্তাব’ দিয়েছিলেন। জোর করে তার হাত ধরে যৌন নিগ্রহের চেষ্টাও করেছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর পরেও তাঁরা প্রথমে কোনও পদক্ষেপ করেননি। এর পর ছাত্রীর পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। স্কুলে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। অবশেষে শুক্রবার অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনাটি রাজস্থানের কোটার জুলমি গ্রামের। সেখানকার একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। পকসো আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ছাত্রীর পরিবার। ১৭ বছরের ওই ছাত্রী পুলিশকে জানিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষক তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। জোর করে বেশ কয়েক বার ছাত্রীর হাত ধরে তিনি টানাটানিও করেছেন। স্কুলেই এ কথা প্রধানশিক্ষককে জানিয়েছিল ছাত্রী। কিন্তু অভিযোগ, কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। এর পর ছাত্রী গোটা ঘটনাটি বাড়িতে গিয়ে জানায়।
ছাত্রীর অভিভাবকেরা বিষয়টি শোনার পর শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে স্কুল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর পরেই গ্রামবাসীদের স্কুলের সামনে জড়ো করে ছাত্রীর পরিবার। স্কুলে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। কয়েক জন ছাত্রী স্কুলের বাইরে জুতোর মালা নিয়েও দাঁড়িয়ে ছিল। পরে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলাওয়ার অভিযুক্ত শিক্ষক এবং প্রধানশিক্ষককে সাসপেন্ড করেছেন। ওই দু’জনের বিরুদ্ধে দফতরের অভ্যন্তরীণ তদন্তও শুরু হয়েছে। ধৃতকে শুক্রবার আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।