আয়কর হানায় উদ্ধার হওয়ার টাকা। ছবি: সংগৃহীত।
কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় নাম জড়াল ওড়িশার কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ ধীরজ সাহুর। শনিবার রাঁচীতে তাঁর বাড়ি-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে তিন ব্যাগ ভর্তি টাকা উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়াও মদ কারখানার এক শীর্ষ কর্তা বান্টি সাহুর বাড়ি থেকে টাকাভর্তি প্রায় ১৯টি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে বলে আয়কর দফতর সূত্রে খবর।
বান্টি সাহুর বাড়ি থেকে ২০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে আয়কর দফতর সূত্রে খবর। ওড়িশার বোলাঙ্গির জেলার বিভিন্ন জায়গায় শনিবার তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর দফতরের ১০০ জন আধিকারিক। শনিবার যে টাকা উদ্ধার হয়েছে সেগুলি বোলাঙ্গির জেলার ব্যাঙ্কগুলিতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক আয়কর আধিকারিক। বোলাঙ্গিরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আঞ্চলিক ম্যানেজার ভগত বেহরা বলেন, “দু’দিনের মধ্যে টাকা গোনার কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়েছি। ৫০ জন ব্যাঙ্ককর্মীকে এই কাজে লাগানো হয়েছে।” আরও কর্মীদের এই কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন বেহরা।
তিনি আরও জানান, টাকাভর্তি ১৭৬টি প্যাকেট হাতে পেয়েছেন। তার মধ্যে ৪০টি প্যাকেট গোনা হয়েছে ইতিমধ্যেই। বাকি প্যাকেট গোনা চলছে। ৪০টি প্যাকেটেই টাকার পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা ছুঁয়েছে। শুধু বোলাঙ্গিরেই নয়, তিতলাগড়েও টাকা গোনার কাজ চলছে। যে সব ব্যাঙ্কে টাকা গোনার কাজ চলছে, সেখানে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেহরা।
গত বুধবার থেকে আয়কর হানা চলছে ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডে। ওড়িশার একটি বড় মদ কারখানা থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। তদন্ত করতে গিয়ে এই ঘটনায় নাম উঠে আসে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ধীরজ সাহুর। তার পরই তাঁর বাড়িতে তল্লাশিতে যান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। তার মধ্যেই আবার খবর প্রকাশ্যে এসেছে যে, বৌধ জেলার যে মদ কারখানায় আয়কর হানা চলছে, তার কাছেই একটি জায়গা থেকে বিপুল পরিমাণ ছেঁড়া ৫০০ টাকার নোট উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয়রাই এই টাকা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।