রতন টাটার দুই বিমান সংস্থা, এয়ার ইন্ডিয়া এবং ভিস্তারা মিশে যাচ্ছে। ফাইল চিত্র।
এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে যেতে পারে বিমান সংস্থা ভিস্তারা। মঙ্গলবার এ বিষয়ে টাটা কর্ণধার রতন টাটার সংস্থার সঙ্গে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ঐকমত্য হয়েছে। আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যেই এই একত্রীকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে দুই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। টাটাদের সঙ্গে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের (এসআইএ)-র যৌথ উদ্যোগ ভিস্তারাকে প্রতিযোগিতার বাজারে আরও সক্রিয় করার উদ্দেশ্যেই এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে ব্যবসা একত্রীকরণের এই পদক্ষেপ।
পরিকাঠামো ও সম্পদের সদ্ব্যবহার এবং খরচ কমানোর পাশাপাশি টাটাদের মালিকানাধীন দুই সংস্থা মিশে গেলে উড়ান পরিষেবার ক্ষেত্রেও সুফল মিলতে পারে বলে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের আধিকারিকদের একাংশ মনে করছেন। পরিকল্পনা কার্যকর হলে দেশের এক নম্বর উড়ান সংস্থা ইন্ডিগোকে টেক্কা দিতে পারবে টাটারা। চলতি মাসেই সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স জানিয়েছিল, টাটা এবং এসআইএ-র মধ্যে আলোচনা চলছে। টাটা সন্স এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভিস্তারা অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশি বিমান পরিষেবার কাজ করে।
একত্রীকরণের পর এসআইএ-র হাতে ২৫.১ শতাংশ শেয়ার (আনুমানিক মূল্য ৫ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা) থাকবে বলে টাটা সন্স এবং এসআইএ জানিয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে সরকারি বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার নিয়ন্ত্রণ হাতে পেয়েছিল টাটা গোষ্ঠী। এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নিকরণের জন্য টাটা সন্সের জমা দেওয়া ১৮ হাজার কোটি টাকার দরপত্রটি কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘বিলগ্নিকরণ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা নিয়ন্ত্রণ দফতর’ অনুমোদন করায় ৬৮ বছর পরে ফের এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা পেয়েছিল টাটারা। এর পরেই শুরু হয় এয়ার ইন্ডিয়া এবং ভিস্তারাকে মিশিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ।
প্রসঙ্গত, প্রায় ন’দশক আগে টাটা গোষ্ঠীরই হাত ধরে শুরু হয়েছিল দেশের প্রথম উড়ান সংস্থা। দেশের প্রথম পাইলট জে আর ডি টাটা প্রতিষ্ঠিত সেই টাটা এয়ারলাইন্সের নাম বদলে ১৯৪৬ সালে হয় এয়ার ইন্ডিয়া (এআই)। স্বাধীনতার পরে তার মালিকানা চলে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। এর পর ২০১৪ সালে দেশের উড়ান পরিষেবায় বিদেশি লগ্নির পথ চওড়া করে দিয়েছিল কেন্দ্র। সে বছর জুনে মালয়েশিয়ার ধনকুবের টনি ফার্নান্ডেজের এয়ারএশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতের আকাশে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া-র পরিষেবা শুরু করে টাটা। পরে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের সঙ্গে যৌথ ভাবে চালু করে বিমান পরিষেবা সংস্থা ‘ভিস্তারা’।