লকহিড মার্টিন সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস। নিজস্ব চিত্র।
যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুর মহড়া নিতে ফাইটার জেটের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে সামরিক পরিবহণ বিমানেরও। এ বার ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য পরিবহণ বিমান সি-১৩০ সুপার হারকিউলিস রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতির জন্য এ দেশের মাটিতেই তৈরি হচ্ছে কারখানা। আমেরিকার বিমান নির্মাতা সংস্থা লকহিড মার্টিনের সঙ্গে এই প্রকল্পে শামিল হচ্ছে টাটা শিল্পগোষ্ঠী।
যুদ্ধবিমান-সহ বিভিন্ন সামরিক বিমান নির্মাণের ক্ষেত্রে লকহিড মার্টিন বিশ্বের প্রথম সারির সংস্থা। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পঞ্চম প্রজন্মের ‘এফ সিরিজের’ যুদ্ধবিমান তৈরি করে তারা। নরেন্দ্র মোদী সরকার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিদেশি লগ্নির দরজা খুলে দেওয়ার পরে এ দেশে যৌথ উদ্যোগে বিমান নির্মাণ, প্রয়োজনীয় মেরামতি, রক্ষণাবেক্ষণ এবং আধুনিকীকরণের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প চালু করতে চলেছে তারা।
সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশ্ব জুড়ে ২৩টি দেশে লকহিড মার্টিনের ২৭টি মেন্টেন্যান্স-রিপেয়ারিং-ওভারহলিং (এমআরও) রয়েছে। এ বার ভারতে টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে যৌথ ভাবে পা রাখতে চলেছে তারা। ‘টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেম’-এর সিইও সুকর্ণ সিংহ বলেন, ‘‘লকহিড মার্টিনের সঙ্গে এই যৌথ উদ্যোগ টাটাগোষ্ঠীর ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।’’ বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই মুহূর্তে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য বিদেশ থেকেই বিমানের অধিকাংশ যন্ত্রাংশ আমদানি করতে হয়। তবে, ভারতের মাটিতে এমআরও তৈরি হলে, এ দেশেই সেই সব যন্ত্রাংশ তৈরি হবে এবং পরবর্তীকালে তা বিদেশেও রফতানি করা যাবে।