কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।
কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিল ওই কিশোরী। তাঁর মা ভেবেছিলেন, মেয়ের উপর ‘ভর’ হয়েছে। তাই তাকে নিয়ে তান্ত্রিকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। অভিযোগ, ভূত তাড়ানোর নাম করে একাধিক বার কিশোরীকে ধর্ষণ করেন তান্ত্রিক। যার ফলে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
ঘটনাটি দিল্লির। ১৪ বছরের ওই কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। রবিবার দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ধর্ষণের কারণে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে মেডিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়, সে ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীকে তার মা তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। তার পর থেকে বেশ কয়েক বার যেচে কিশোরীর বাড়িতে আসেন অভিযুক্ত। ভূত তাড়ানোর নানা কৌশল তাঁর আয়ত্তে আছে বলে দাবি করে তিনি কিশোরীর মাকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। তার পর ফাঁকা ঘরে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। ২ থেকে ৩ বার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
কিছু দিনের মধ্যে কিশোরীর শারীরিক অসুস্থতার মাত্রা বেড়ে যায়। তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে জানা যায়, সে অন্তঃসত্ত্বা। এর পরেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে সে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত তান্ত্রিক এর আগেও এমন কাজ করেছেন কি না, আরও কেউ তাঁর লালসার শিকার হয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।