ফাইল চিত্র।
বন্দুকের জবাব দিতে হয় বন্দুকে! দেশের অখণ্ডতা এবং একতা ভাঙার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড়া উচিত নয়। রবিবার কোচির একটি অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবি। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ হয়েছে পূর্বতন কংগ্রেস সরকার। যা নিয়ে তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতর। সাংবিধানিক পদে বসে এমন মন্তব্য করা সমীচীন কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের দাবি, গত আট বছরে কোনও সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির সঙ্গে কোনও আলোচনায় যায়নি সরকার। তারা যদি আত্মসমর্পণ করে, সেটা আলাদা ব্যাপার। কিন্তু বন্দুকের উত্তর শুধু বন্দুক দিয়েই হয় বলে দাবি রাজ্যপালের। তাঁর কথায়, ‘‘হিংসার ঘটনা মোটেই বরদাস্ত করা হবে না। কেউ বন্দুক তাক করলে তাকে বন্দুক দিয়েই জবাব দিতে হবে। দেশের সংহতি এবং অখণ্ডতা বিরোধী শত্রুর সঙ্গে কোনও আলোচনায় যাওয়ায় উচিত নয়।’’
এর পরই তিনি ২৬/১১ মুম্বই হামলার ঘটনা টেনে এনে পূর্বতন কংগ্রেস সরকারের সমালোচনা করেন। তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের কথায়, ‘‘২৬/১১ হামলার সময় পুরো দেশ সাক্ষী হয় এক মর্মান্তিক ছবির। কয়েক জন সন্ত্রাসবাদীর হাতে সারা দেশ অপমানিত হয়েছে। কিন্তু সেই হামলার মাত্র ন’ মাসের মধ্যে আমাদের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং পাক প্রধানমন্ত্রী একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন যে, উভয় দেশ সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়। এটা কী!’’ এর পর তাঁর সংযুক্তি, ‘‘পাকিস্তান বন্ধু না কি শত্রু, এটা আগে পরিষ্কার করতে হবে।’’এর পর পুলওয়ামা ঘটনার উদাহরণ টেনে মোদী সরকারের প্রশস্তি করেন। বলেন, ‘‘পুলওয়ামা হামলার পর, আমরা বালাকোটে পাল্টা আক্রমণ করেছি। বার্তা পরিষ্কার ছিল। সন্ত্রাসবাদী কাজ করলে তার মূল্য দিতেই হবে।’’