Uniform Civil Code

‘সামাজিক কাঠামোর পক্ষে বিপদ’, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরোধিতায় আইন কমিশনকে চিঠি স্ট্যালিনের

গত ১৪ জুন কেন্দ্র-নিযুক্ত ২২তম আইন কমিশনের তরফে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর বিষয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন ও আমজনতার মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল। এ পর্যন্ত ১০ লক্ষের বেশি মতামত জমা পড়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

চেন্নাই শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৩ ১৮:০২
Share:

অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরোধিতা করলেন তামিলনাড়ুর মুখ্য়মন্ত্রী স্ট্যালিন। — ফাইল চিত্র।

সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়ালেন ডিএমকে প্রধান তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। কেন্দ্রীয় আইন কমিশনের কাছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে চিঠি পাঠালেন তিনি। কমিশনকে পাঠানো চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার উদ্যোগ আমাদের সামজিক কাঠামোর সামনে একটি বিপদ।’’

Advertisement

ডিএমকের সঙ্গী কংগ্রেসের তরফে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির খসড়া না দেখে তারা এ বিষয়ে কোনও মতামত জানাবে না। এই পরিস্থিতিতে স্ট্যালিনের পদক্ষেপ ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল এবং ২৯ নম্বর অনুচ্ছেদের প্রসঙ্গ তুলে সংখ্যালঘু এবং জনজাতি জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার প্রয়োজনিয়তার কথাও কমিশনকে জানিয়েছেন স্ট্যালিন।

গত ১৪ জুন ২২তম আইন কমিশনের তরফে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর বিষয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন এবং আমজনতার মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে ১০ লক্ষেরও বেশি ব্যক্তি এবং সংগঠনের প্রতিক্রিয়া জমা পড়েছে বলে আইন কমিশন সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বলবীর সিংহ চৌহানের নেতৃত্বাধীন ২১-তম আইন কমিশনের মত ছিল, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করে বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, উত্তরাধিকারের মতো পারিবারিক বিষয়ে হিন্দু, মুসলমান, শিখ, খ্রিস্টান, পার্সি, জৈন সকলের জন্য একই আইন চালু করার প্রয়োজন নেই।

Advertisement

সেই প্রসঙ্গ তুলে সম্প্রতি ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড’-এর তরফে আইন কমিশনকে বলা হয়েছে, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠের নৈতিকতা যাতে ব্যক্তিগত অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ না-করে, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন’। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত ২৭ জুন ভোপালে বিজেপির কর্মসূচিতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে জোরদার সওয়াল করেছিলেন। সে রাতেই বিষয়টি নিয়ে জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিলেন মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্যেরা। ভার্চুয়াল মাধ্যমে হওয়া বৈঠকে প্রস্তাবিত আইনের সম্ভাবনার দিকটি নিয়ে আলোচনা হয়।

লোকসভার বাদল অধিবেশনেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল পেশ করা হবে বলে জানিয়েছেন দিল্লির বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। যা ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি দিল্লির জামা মসজিদের শাহি ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিতর্কে নীরব থাকার ‘ফতোয়া’ দিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement