পশ্চিম দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন পাচারকারীকে। ছবি: সংগৃহীত।
মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে নাম জড়াল তামিলনাড়ুর এক ছবি প্রযোজকের। তিনিই এই পাচারচক্রের পাণ্ডা বলে জানিয়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। গত তিন বছরে ওই প্রযোজক এবং তাঁর গ্যাং ২০০০ কোটি টাকার মাদকের ব্যবসা করেছে বলে এনসিবি সূত্রে খবর। কিন্তু মূল চক্রী ওই তামিল প্রযোজকের এখনও হদিস পায়নি পুলিশ।
এনসিবির আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, নিউ জ়িল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ তাদের খবর দেয়, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খাবারের মধ্যে লুকিয়ে বিপুল পরিমাণ সিউ়ডোএফেড্রিন পাচার হচ্ছে বেশ কয়েকটি দেশে। এই রাসায়নিক মেথামফেটামাইন মাদক তৈরিতে কাজে লাগে। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউ জ়িল্যান্ডে এই মাদক প্রতি কেজি দেড় কোটি টাকায় বিক্রি হয়।
এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জ্ঞানেশ্বর সিংহ জানিয়েছেন, আমেরিকার মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে তাঁদের খবর দেওয়া হয় দিল্লিতে বিপুল পরিমাণ মাদক পাচার হতে চলেছে। সেই খবর পেয়েই একটি দল গঠন করে নজরদারি চালানো শুরু করে এনসিবি। চার মাস ধরে নজরদারি চালানোর সময় এনসিবি জানতে পারে, দিল্লি থেকে অস্ট্রেলিয়াতেও মাদক পাচারের প্রস্তুতি চলছে। ভারত ছাড়াও নিউ জ়িল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং মালয়েশিয়াতেও এই পাচারের জাল বিস্তৃত।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম দিল্লির বাসাই দারাপুরের একটি গুদামে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে ৫০ কেজি সিউডোফেড্রিন উদ্ধার হয়। সেগুলি খাবারের প্যাকেটের আড়ালে পাচার করা হচ্ছিল। ওই গুদাম থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের জেরা করে এনসিবির আধিকারিকেরা জানতে পারেন, তামিলনাড়ুর এক ব্যক্তি এই পাচারচক্রের হোতা। গত তিন বছরে ৪৫টি বরাত পেয়েছিলেন তিনি। ওই বরাত অনুযায়ী সাড়ে তিন হাজার কেজি সিউডোফেড্রিন পাচার করা হয়। কে সেই তামিল ব্যক্তি, তা তদন্ত করতে গিয়েই এক প্রযোজকের নাম উঠে আসে। ছবি তৈরির আড়ালে তিনি এই মাদক পাচারের বরাত নিতেন বলে দাবি এনসিবির।