পুলিশ সুপারকে আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল। প্রতীকী ছবি।
অসমে কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্তের আত্মীয়ের থেকে লক্ষাধিক টাকার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে নিলম্বিত (সাসপেন্ডেড) পুলিশ সুপারকে গ্রেফতার করা হল। অসমের দারাং জেলায় ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার তদন্তে রাজমোহন রায় নামে ওই সাসপেন্ডেড পুলিশ সুপারকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পরই ওই পুলিশ সুপারকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সিআইডি। অভিযোগ, ধর্ষণে অভিযুক্তের আত্মীয়ের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছেন ওই পুলিশ সুপার। সিআইডি সূত্রে খবর, অভিযুক্তের পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি খতিয়ে দেখার পরই ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি নজরে আসে। মামলা লঘু করার জন্য অভিযুক্তের পরিবারের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছিলেন ওই পুলিশ সুপার, এমনই দাবি করা হয়েছে।
ধুলা থানার তৎকালীন ওসির মাধ্যমে ঘুষের টাকা পুলিশ সুপার নিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে। এই মামলায় গত ৩১ অক্টোবর উৎপল বোরা নামে ওই ওসিকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গত ৭ নভেম্বর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রূপম ফুকন ও আরও তিন চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই তিন চিকিৎসক কিশোরীর ময়নাতদন্ত করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে ১৩ বছরের এক পরিচারিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় ধুলা থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। এই ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল অসমে। গত ১২ অগস্ট নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। অভিযোগ দায়ের নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ করেছিল নির্যাতিতার পরিবার। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। চার্জশিট জমা দেওয়ার পর এই ঘটনায় সরকারি আধিকারিক, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তদন্তে নামে সিআইডি। কিশোরীর ময়নাতদন্ত করেছিলেন যাঁরা, সেই চিকিৎসকদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা।
আগেই ওই পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ওসিকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গড়ার নির্দেশ দেন তিনি। পরে তদন্তভার নেয় সিআইডি।