আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের প্রাক্তন মুখ্যসচিব
গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের প্রাক্তন মুখ্যসচিব জিতেন্দ্র নারায়ণকে। আগেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পোর্ট ব্লেয়ারে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যেতেই গ্রেফতার করা হয় প্রাক্তন এই আমলাকে।
অক্টোবরে এক মহিলা নারায়ণের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। তার পরেই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। পরে তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি বাড়িতে যৌনব্যবসা চালানোর অভিযোগ তোলেন ২১ বছরের এক তরুণী। অভিযোগ ওঠে, অন্তত ২০ জন মেয়েকে বাড়িতে ডেকে এনে টাকার বিনিময়ে যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করেছেন জিতেন্দ্র। তরুণীর নিশানায় ছিলেন আন্দামান সরকারের আরও এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক। আন্দামানের শ্রম দফতরের ডিরেক্টর আরএল ঋষিকেও কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তিনি। দু’জনের বিরুদ্ধেই আনা হয়েছিল গণধর্ষণ এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগ।
উচ্চপদস্থ আমলার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ওঠার পরেই আন্দামান ও নিকোবর পুলিশের কাছে এ বিষয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রিপোর্টে বলা হয়, সরকারি পদের অপব্যবহার করেছেন জিতেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে আন্দামান ও নিকোবর পুলিশও। তার পর জামিনে মুক্ত ছিলেন আন্দামানের প্রাক্তন মুখ্যসচিব। গত ১৭ অক্টোবর সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ ১৪ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগেই গ্রেফতার করা হল তাঁকে।
নারায়ণকে সাসপেন্ড করার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়, “মহিলাদের নিগ্রহ সংক্রান্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে সরকার ‘জ়িরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে চলে। তাই যিনিই এমন দুষ্কর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকুন না কেন, উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনও রকম আপস করা হবে না।”