বিশাল বড় ঝাঁ-চকচকে ইমারত। দূর থেকে দেখলে নজরে পড়ে শুধু জানলা আর বারান্দা। সুবিশাল সেই ইমারতের বারান্দাগুলি থেকে ঝোলে জামাকাপড়, ছোট গাছের টব। সেই ছবি ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ঝড় তুলেছে।
দাবি করা হচ্ছে, এই বাসভবনে নাকি একসঙ্গে ৩০ হাজার মানুষ বসবাস করেন। এ-ও দাবি করা হয়েছে, এটিই নাকি বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল বাসভবন।
এই ইমারতের নাম হ্যাংঝো রিজেন্ট ইন্টারন্যাশনাল। যা রয়েছে চিনের হ্যাংঝো শহরে।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পোস্টগুলির এই দাবি সত্যি কি না তা খুঁজে বার করার জন্য পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু হয়েছে।
সমাজমাধ্যমে ওই আবাসনের ছবি দিয়ে দাবি করা হয়েছে, হ্যাংঝো রিজেন্ট ইন্টারন্যাশনাল হল বিশ্বের বৃহত্তম আবাসিক ভবন যেখানে বাস ৩০ হাজার মানুষের।
বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিক ভাবে হ্যাংঝোয় আবাসনের পরিবর্তে একটি বিলাসবহুল হোটেল তৈরির পরিকল্পনা হয়েছিল। তবে পরবর্তী কালে নির্মাতাদের সিদ্ধান্তে বদল আসে। হোটেলের পরিবর্তে একটি বাসভবনে পরিণত করা হয় পুরো ইমারতকে।
হোটেলের বদলে বাসভবন তৈরির পরিকল্পনার পর ওই ইমারতের অভ্যন্তরীণ নকশাও বদলে ফেলা হয়। ছোট ছোট অসংখ্য কক্ষ তৈরি হয় আবাসনের প্রতিটি তলায়।
বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বাসভবনে বাস করেন চিনের ‘হ্যাং পিয়াও’রা। চিনের তরুণ পেশাদার, সমাজমাধ্যমের তারকা এবং প্রভাবীদের ‘হ্যাং পিয়াও’ বলা হয়।
চিনের বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এই আবাসনে ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার বাসিন্দা বসবাস করেন।
হ্যাংঝো রিজেন্ট ইন্টারন্যাশনাল আবাসনটি হ্যাংঝোর কিয়ানজিয়াং শহরে।
আবাসনটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকলেও এবং বিলাসবহুল হলেও অতিরিক্ত লোক বসবাসের জন্য আবাসিকেরা গোপনীয়তার অভাব বোধ করেন।
এই আবাসনের আবাসিকদের মধ্যে প্রায়ই গোলমাল বাধে বিভিন্ন কারণে।
তবে সত্যিই কি হ্যাংঝো রিজেন্ট ইন্টারন্যাশনাল পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল আবাসন! চিনা সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই আবাসনে ১০ থেকে ২০ হাজার মানুষের বাস হলেও সেই সংখ্যা কোনও মতেই ৩০ হাজার নয়।
এই আবাসনে যে সত্যিই ৩০ হাজার লোক বাস করে তার কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণও নেই।
মনে করা হয়, পৃথিবীর সব থেকে উঁচু বাসভবন আমেরিকার সেন্ট্রাল পার্ক টাওয়ার।