আয়করে ছাড়? আশা সমীক্ষায়

আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়তে পারে বলে প্রত্যাশা আরও উসকে দিয়েছে উপদেষ্টা সংস্থা কেপিএমজি-র সমীক্ষা। এই সমীক্ষা বলছে, আমজনতার জন্য আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়তে পারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৯ ০২:০২
Share:

দু’দিন পরেই বাজেট। দ্বিতীয় দফায় মোদী সরকারের বাজেটে চাষি-গরিবের পাশাপাশি মধ্যবিত্তের জন্যও আয়করে ছাড়ের উপহার থাকবে বলে প্রত্যাশা তুঙ্গে।

Advertisement

অর্থ মন্ত্রকের আধিকারিকেরা এখনও বলে যাচ্ছেন, বাজেটে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা ২.৫ লক্ষ টাকা থেকে বৃদ্ধির সম্ভাবনা খুবই কম। তা সত্ত্বেও লোকসভা ভোটে জিতে মোদী সরকার মধ্যবিত্তকে উপহার দেবে বলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আশা তৈরি হয়েছে। লোকসভায় নতুন সাংসদদের মধ্যেও এ নিয়ে জোর জল্পনা।

আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়তে পারে বলে প্রত্যাশা আরও উসকে দিয়েছে উপদেষ্টা সংস্থা কেপিএমজি-র সমীক্ষা। এই সমীক্ষা বলছে, আমজনতার জন্য আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়তে পারে। তার জন্য যে রাজস্ব ক্ষতি হবে, তা পূরণ করতে আয়ের নিরিখে একেবারে উপরের স্তরে থাকা মানুষের উপরে বাড়তি আয়কর চাপতে পারে। এখন বছরে ১০ লক্ষ টাকার বেশি আয় হলেই ৩০ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হয়। অনেকদিন ধরেই ১০ লক্ষ টাকার উপরে বা নীচে করের আরেকটি হার যোগ করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। কেপিএমজি-র সমীক্ষা অনুযায়ী, ১০ কোটি টাকার উপরে আয়ের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ হারে কর চাপতে পারে।

Advertisement

অর্থ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, মধ্যবিত্ত, উচ্চ-মধ্যবিত্তকে কিছুটা সুবিধা দিতে ৩০ শতাংশ করের সীমা বাড়ানো হতে পারে। এখন ১০ লক্ষ টাকা আয়ের উপরে ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। ১০ লক্ষ টাকার এই নিম্নসীমা বাড়িয়ে ১৫ লক্ষ টাকা করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ২০ শতাংশ কর দিলেই চলবে। তবে এ বছর তা করা না-ও হতে পারে। সামনে তেমন কোনও কঠিন ভোটের পরীক্ষা নেই। বরং ২০২০ বা ২০২১-এ বিশেষ কিছু রাজ্যের বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে এই ধরনের ছাড় দেওয়া হতে পারে।

কর বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বাজেটে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা ২.৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ, লোকসভা ভোটের আগের বাজেটের ঘোষণা অনুযায়ী, আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা এখনও ২.৫ লক্ষ টাকা থাকলেও ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত যাঁদের আয়, তাঁদের বাস্তবে কোনও আয়কর দিতে হবে না। যদিও তাঁদের আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে হবে। তাঁদের মতে, মধ্যবিত্ত চাকুরিজীবীর কর সাশ্রয়ের জন্য লগ্নি বা সঞ্চয়ের কিছু নতুন রাস্তা খুলে দেওয়া হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement