তিন কর্মীকে তিনটি মার্সিডিজ গাড়ি দিলেন সুরাটের হিরে ব্যবসায়ী। ছবি: সংগৃহীত।
ক’দিন আগেই কোম্পানিতে পঁচিশ বছর পূর্ণ করেছেন তিন কর্মী। সেই আনন্দে তাঁদের তিনটি বহুমূল্য মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি উপহার দিলেন সুরাটের হিরে ব্যবসায়ী। প্রতিটি গাড়ির মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অনাদিবেন পটেলের উপস্থিতিতে কর্মীদের গাড়ির চাবি তুলে দিয়েছেন সভজিকাকা ওরফে সভজিভাই ঢোলাকিয়া।
তবে এই প্রথম নয়, প্রতি বছরই নানা অছিলায় কর্মীদের হাত খুলে উপহার দিয়ে থাকেন সভজিকাকা। ২০১৭ সাল তিনি নববর্ষ উদযাপন করেছিলেন কর্মীদের ১২০০ গাড়ি উপহার দিয়ে। তার আগের বছরও দিওয়ালিতে কর্মীদের ১২৬০টি গাড়ি ও ৪০০ ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছিলেন সভজিকাকা। মোট খরচ পড়েছিল ৫১ কোটি টাকা। নিজের কর্মীদের নিয়ে বরাবরই দরাজদিল গুজরাটের এই ব্যবসায়ী।
যে তিন কর্মীকে তিনি মার্সিডিজ বেঞ্জ উপহার দিলেন তাঁদের প্রত্যেকের বয়স ৩৮ থেকে ৪৩-এর মধ্যে। যখন সভজিভাই-এর কোম্পানিতে তাঁরা কাজে যোগ দেন, তখন কারও বয়সই কুড়ির কোঠা পেরোয়নি। সভজিভাই নিজে তাঁদের হিরে কাটা ও পালিশ করার কাজ শিখিয়েছিলেন। গত পঁচিশ বছর ধরে আস্তে আস্তে তাঁরা হয়ে উঠেছিলেন কোম্পানির বিশ্বস্ত কর্মী। সেই অবদানের জন্যই শেষ পর্যন্ত মিলল আস্ত মার্সিডিজ।
আরও পড়ুন: শবরীমালায় চুপ বিজেপি, হুঙ্কার ভীমা কোরেগাঁওয়ে
৬০০০ কোটি টাকার হিরে ব্যবসার সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন সভজিভাই ঢোলাকিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
সুরাট এবং সৌরাষ্ট্রে সভজিভাই ঢোলাকিয়াকে সবাই চেনেন সভজিকাকা নামেই। শোনা যায়, ১৯৭৭ সালে আমরেলি জেলার দুধালা গ্রাম থেকে তিনি যখন সুরাটের উদ্দেশে রওনা দেন, তখন তাঁর পকেটে ছিল সাড়ে বারো টাকা। অর্থাৎ, মেরেকেটে বাসভাড়া আর এক বেলার খাবার। এই মুহূর্তে অবশ্য তিনি ৬০০০ কোটি টাকার হিরে ব্যবসার মালিক। কর্মীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার।
আরও পড়ুন: ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ নিয়ে ভোটের মুখেই কেন ‘পরাক্রম পর্ব’?
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)